আজ বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের ৫২তম শাহাদতবার্ষিকী

নড়াইল, এটিভি সংবাদ 

আজ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্সনায়েক নূর মোহাম্মদ শেখের ৫২তম শাহাদতবার্ষিকী। ১৯৭১ সালের এই দিনে যশোর জেলার গোয়ালহাটিতে পাকিস্তানী হানাদারবাহিনীকে প্রতিরোধ, সঙ্গীদের জীবন ও অস্ত্র রক্ষা করতে গিয়ে শহীদ হন নূর মোহাম্মদ।

পরে তাঁকে যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিপুরে সমাহিত করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে নূর মোহাম্মদ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাবে ভূষিত হন।

১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি নড়াইল সদর উপজেলার তৎকালীন মহিষখোলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন নূর মোহাম্মদ। তার বাবা মোহাম্মদ আমানত শেখ ও মা জেন্নাতুন্নেছা। বাল্যকালেই বাবা-মাকে হারান তিনি। সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। তার স্ত্রী ফজিলাতুন নেসা, ছেলে গোলাম মোস্তফা কামাল ও তিন মেয়ে রয়েছে। ২০০৮ সালের ১৮ মার্চ মহিষখোলার নাম পরিবর্তন করে নূর মোহাম্মদ নগর করা হয়। এরপর উন্নয়নের ছোঁয়ায় বদলে যায় নূর মোহাম্মদ নগর। তার স্মৃতি রক্ষার্থে নূর মোহাম্মদ নগরে নির্মাণ করা হয়েছে ‘বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর’এবং স্মৃতিস্তম্ভ। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মহাবিদ্যালয়।

জানা যায়, ১৯৫৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসে যোগদান করেন তিনি। দীর্ঘদিন দিনাজপুর সীমান্তে চাকরি করার পরে ১৯৭০ সালের ১০ জুলাই যশোর সেক্টরে বদলি হন। পরবর্তীতে ল্যান্স নায়েকে পদোন্নতি পান। ১৯৭১ সালে যশোর অঞ্চল নিয়ে গঠিত আট নম্বর সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। নূর মোহাম্মদ যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিপুর সীমান্তের বয়রা অঞ্চলে ক্যাপ্টেন নাজমুল হুদার নেতৃত্বে পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে দেশ শত্রুমুক্ত করেন।

নূর মোহাম্মদ শেখের ৫২তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে নূর মোহাম্মদ নগরে পবিত্র কোরআনখানি, স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও গার্ড অব অনার প্রদান, কুইজ প্রতিযোগিতা, আলোচনা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ ট্রাষ্টের সদস্য সচিব ও চন্ডীবরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান ভূঁইয়া।