
নিজস্ব প্রতিবেদক:
মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার আবু ওসমান চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি শনিবার সকালে মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
মুক্তিযুদ্ধে আবু ওসমানের অবদান স্মরণ করে এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, তার অবদান জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।
শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি প্রয়াত আবু ওসমান চৌধুরীর রুহের মাগফিরাত কামনার পাশাপাশি তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
শোকবার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, “মহান মুক্তিযুদ্ধে আবু ওসমান চৌধুরীর বীরত্বপূর্ণ অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
“স্বাধীন বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনা বাস্তবায়ন এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে এই বীর সেনানীর অনবদ্য ভূমিকা সবসময় আমাদের প্রেরণা যোগাবে।”
স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত আবু ওসমান যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনি সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যানের পদেও ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক মোজাম্মেল হক শোকবার্তায় বলেন, “তিনি শুধু বীর মুক্তিযোদ্ধাই ছিলেন না, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন এবং যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবিতে আজীবন কাজ করেছেন। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাসে আবু ওসমান চৌধুরীর নাম স্মরণীয় হয়ে থাকবে।”
ভূমিমন্ত্রীর শোক: মুক্তিযুদ্ধের ৮নং সেক্টরের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব:) আবু ওসমান চৌধুরী-এঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখপ্রকাশ করেছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।
আজ এক শোকবার্তায় ভূমিমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশের জাতীয় মুক্তির ঐতিহাসিক সংগ্রামের অন্যতম বীর সেনানায়ক ও স্বাধীনতা পুরস্কার জয়ী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব:) আবু ওসমান চৌধুরী ৮নং সেক্টরে অসাধারণ দক্ষতায় মুক্তিযোদ্ধাদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে গণপ্রশাসনেও কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখেন এ বীর সেনানী। তাঁর কর্তব্যনিষ্ঠ জনসেবা জাতি চিরকাল স্মরণ করবে। তাঁর মৃত্যু দেশের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।”
ভূমিমন্ত্রী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব:) আবু ওসমান চৌধুরী-এঁর বিদেহ আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।