বানিজ্য ডেস্ক, এটিভি সংবাদ
দাম স্থিতিশীল করতে দেশে ডিম আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। তবুও দাম কমছে না। এবার আরও ৫ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। রোববার (৮ অক্টোবর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. হায়দার আলী বিষয়টি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, দেশে ডিমের বাজার স্থিতিশীল করতে আরও ৫টি প্রতিষ্ঠানকে এক কোটি করে মোট ৫ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আমদানির অনুমতি পাওয়া পাঁচ প্রতিষ্ঠান হলো- মেসার্স লাকি এন্টারপ্রাইজ, ইউনিয়ন ভেনচার লিমিটেড, জে এফ জে প্যারাডাইজ কানেকশন, মেসার্স পিংকি ট্রেডার্স এবং লায়েক এন্টারপ্রাইজ।
জানা যায়, পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে এক কোটি করে ডিম আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন আসতে পারে আজই। আমদানি করা ডিমের খুচরা পর্যায়ের সরকার নির্ধারিত মূল্য হচ্ছে পিস প্রতি ১২ টাকা।
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর দেশের বাজারে ডিমের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় তা সামাল দিতে ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দেয় সরকার। সেই চারটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে: মেসার্স মীম এন্টারপ্রাইজ, প্রাইম এনার্জি ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড সাপ্লাইয়ার্স, টাইগার ট্রেডিং এবং অর্নব ট্রেডিং লিমিটেড। পরে ২১ সেপ্টেম্বর আরও ৬ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সেই প্রতিষ্ঠানগুলো- চিজ গ্যালারি, পপুলার ট্রেড সিন্ডিকেট, মেসার্স রিপা এন্টারপ্রাইজ, এস এম করপোরেশন, বিডিএস করপোরেশন ও মেসার্স জয়নুর ট্রেডার্স। ফলে সব মিলিয়ে মোট ১৫ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে।
ডিম আমদানির ক্ষেত্রে পাঁচটি শর্ত জুড়ে দিয়েছে সরকার। শর্তগুলো হচ্ছে- এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু মুক্ত দেশ হতে ডিম আমদানি করতে হবে। আমদানি করা ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য রফতানিকারক দেশের সরকারের মাধ্যমে নির্ধারিত কিংবা ক্ষমতাপ্রাপ্ত উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের দেয়া এভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লুর ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ামুক্ত সনদ জমা দিতে হবে।
একই সাথে সরকার নির্ধারিত শুল্ক বা কর পরিশোধ করতে হবে। নিষিদ্ধ পণ্য আমদানি করা যাবে না। তাছাড়া সরকারের অন্য বিধিবিধান মেনে চলতে হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রতিদিন ৪ কোটি ডিমের প্রয়োজন হয়।