
নিজস্ব প্রতিবেদক:
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের উপর হামলার ঘটনায় যারাই জড়িত রয়েছে, তাদের কাউকেই কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
ইউএনও’র উপর ঘটনার তদন্ত চলছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কী কারণে এমন ঘটনা ঘটলো, তা জানতে কিছুটা সময় লাগবে। প্রকৃত ঘটনা জানতে পুলিশ ও র্যাব যৌথভাবে কাজ করছে। এই ঘটনায় যেই জড়িত থাকুক না কেন, কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে আমরা কাজ করছি উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, অপরাধী সে যত বড় জনপ্রতিনিধি বা সরকারি কর্মকর্তা-ই হোক না কেন, এব্যাপারে কেউ ছাড় পাবেনা।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শুধু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার জন্য নয়, পর্যায়ক্রমে মন্ত্রীদের বাসার নিরাপত্তার দায়িত্বে আনসার ব্যাটালিয়ান কাজ করবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। তাৎক্ষনিক ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে কাজ করছে আইনরক্ষাকারীরা। এ ঘটনায় দুইজন আটক আছে। এঘটনায় জড়িতরা কেউ রেহাই পাবে না।দেশের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে সরকার।
জানা গেছে, গত বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) দিনগত মধ্যরাতে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদার সরকারি বাসভবনের ভেন্টিলেটর ভেঙে বাসায় ঢুকে ওয়াহিদা ও তার বাবার উপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। ইউএনওর মাথায় গুরুতর আঘাত এবং তার বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়।
পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ইউএনওকে প্রথমে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (রমেক) নিয়ে ভর্তি করা হয়। এরপর তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে করে তাকে ঢাকায় আনা হয়। তিনি বর্তমানে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদিকে, অস্ত্রোপাচারের ১১ ঘণ্টা পর ইউএনও ওয়াহিদা খানমের জ্ঞান ফিরে। জ্ঞান ফেরার পর কথা বলেছেন তিনি। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। তাকে ৭২ ঘন্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে বলে জানা গেছে।