

নিজস্ব প্রতিবেদক
অস্ত্র মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম এখন খুলনায় র্যাবের হেফাজতে রয়েছেন। ১০ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে সাতক্ষীরা আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়েছে র্যাব।
সাতক্ষীরার দেবহাটা থানায় দায়ের করা অস্ত্র মামলায় গত ২৫ জুলাই সাতক্ষীরার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রাজীব কুমার রায় ভার্চুয়াল আদালতে মো. সাহেদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপর রিমান্ডের জন্য গতকাল সোমবার (৩ আগষ্ট) ঢাকায় র্যাবের সদর দফতর থেকে খুলনা র্যাব-৬ কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয় সাহেদকে। সেখানেই সোমবার থেকে তার জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। র্যাব-৬ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল রওশোনুল ফিরোজ জানান, রিমান্ডের জন্য সাহেদ করিমকে ঢাকা থেকে খুলনা র্যাব-৬ কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। গতকাল সোমবার (৩ আগষ্ট) থেকে তার রিমান্ড শুরু হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। রিমান্ড শেষে সাহেদকে সাতক্ষীরা আদালতে হাজির করা হবে।
গত ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কমলপুর গ্রামের ইছামতি খালে নৌকায় ভারতে পালানোর সময় র্যাবের হাতে গ্রেফতার হন আলোচিত প্রতারক মো. সাহেদ। এ সময় তার কাছ থেকে একটি ক্ষুদ্রাস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে সাতক্ষীরায় অস্ত্র আইনে মামলা করেন র্যাব সাতক্ষীরা ক্যাম্পের ডিএডি নজরুল ইসলাম।
করোনার পরীক্ষা না করে ভুয়া প্রতিবেদন প্রদান ও অবৈধভাবে টাকা আদায়সহ চিকিৎসার নামে প্রতারণা ও জালিয়তির অভিযোগে ৬ জুলাই এক অভিযানে ঢাকায় রিজেন্ট গ্রুপের প্রতিষ্ঠান রিজেন্ট হাসপাতাল উত্তরা ও মিরপুর শাখা হাসপাতাল বন্ধ করে র্যাব। পরে ওই হাসপাতালের অনুমোদন বাতিল করে স্বাস্থ্য বিভাগ। অভিযানের পর আত্মগোপন করেন প্রতিষ্ঠানটির মালিক মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম। এঘটনায় রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় সাহেদসহ ১৭জনকে আসামী করে একটি মামলা করে র্যাব। এই মামলায় প্রথম দফায় তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে ২৫ জুলাই উত্তরা পশ্চিম ও উত্তরা পূর্ব থানার অস্ত্র, জাল টাকা ও প্রতারণার চারটি মামলায় সাহেদকে সাত দিন করে ২৮ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেয় আদালত। একই দিনে সাতক্ষীরা আদালতও অস্ত্র মামলায় সাহেদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।