
অনলাইন ডেস্ক, এটিভি সংবাদ
রাজধানীর শাহবাগ থানায় আটকে রেখে ছাত্রলীগের তিন নেতাকে মারধরের ঘটনায় বিভাগীয় তদন্তে ফেঁসে যাচ্ছেন সাময়িক বরখাস্ত হওয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এডিসি) হারুন অর রশিদ। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তদন্ত সেদিনের ঘটনায় তদন্ত কর্মকর্তারা তার দায় খুঁজে পেয়েছেন। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের কাছে মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে কমিটি।
পাশাপাশি এডিসি সানজিদা আফরিন, রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হক ও ছাত্রলীগের নেতারাও দায় এড়াতে পারেন না বলে মনে করেন তদন্ত কর্মকর্তারা। থানায় মারধরের ঘটনায় এডিসি হারুনসহ শাস্তি হতে পারে ৫ পুলিশ সদস্যেরও। তদন্ত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, তদন্ত প্রতিবেদনে এডিসি হারুন ও এডিসি সানজিদা আফরিনসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হবে। এছাড়া এডিসি সানজিদার স্বামী রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হক এবং ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগ নেতাদেরও দায় পাওয়ার কথা জানিয়েছে কমিটি।ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জেরে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় পুলিশ ও প্রশাসনের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অপারেসন্স) বিপ্লব কুমার সরকার জানান, এ ঘটনায় গঠিত কমিটি তদন্ত শেষ করেছে। প্রতিবেদন ধরে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন ডিএমপি কমিশনার।
উল্লেখ্য, গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি (সাসপেন্ড) হারুন-অর-রশীদ ও আরেক সরকারি কর্মকর্তা আজিজুল হক মামুনের হাতাহাতি ঘটনার ঘটে। আরেক পুলিশ কর্মকর্তা এবং আজিজুল হক মামুনের স্ত্রী সানজিদা আফরিনকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় দুই ছাত্রলীগ নেতাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে নির্যাতনের ঘটনার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় সাধারণ জনগণ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে।
