
পৃথিবী যতই নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে দেশে কয়েক মাস ধরে লকডাউন জারি রাখুক না কেন, নারী ও কন্যা শিশুদের প্রতি সহিংসতায় কিন্তু কোনো লকডাউন হয়নি। এবং এই অভূতপূর্ব পরিস্থিতিতে বাড়িকেই সর্বাধিক নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে গণ্য করা হলেও, অসংখ্য নারীর কাছেই গৃহ কিন্তু আদৌ হয়ে ওঠেনি সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়ও।
বরং মেয়েদের প্রতি সেই সহিংসতা, বিশেষত পারিবারিক সহিংসতা একটুও প্রতিরোধ করা যায়নি।
যে কোনো জায়গায়, যে কোনো দ্বন্দ্ব সংঘাত, দাঙ্গা কিম্বা যুদ্ধ বিগ্রহ অথবা কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটুক না কেন – নারী ও শিশুরাই তাতে সব থেকে বেশি বিপদের সম্মুখীন হয়। সহিংসতারও শিকার হয় বেশি।
নভেল করোনাভাইরাস মহামারিও সেই দুর্দশা থেকে তাদের এতটুকুও মুক্তি দেয়নি। আর ভারতের দরিদ্র পরিবারগুলিতে শিশু কন্যাদের অবস্থা যে কতটা করুণ, গণমাধ্যমগুলিতে সে সত্যেরও উদঘাটন হচ্ছে।
উত্তর প্রদেশের চিত্রকূটে ঘটা সাম্প্রতিক ঘটনায় তেমনটাই হচ্ছে, যেখানে গরিব আদিবাসী পরিবার তাদের ১২ – ১৪ বছরের বালিকাদের জোর করে অবৈধ খনিতে কাজ করতে পাঠাচ্ছে। অন্তত যতক্ষণ না তারা তাদের শিশু শরীর সেই খনির কন্ট্রাক্টার ও দালালদের থাবায় তুলে দিতে রাজি হচ্ছে। আরও জানতে এখানে ক্লিক করুন।
এমনকি তাতে আপত্তি জানালে, শুধু ওই বালিকাদের কাজে না রাখার শাসানিই নয়, পাহাড় থেকে নীচে ফেলে দেওয়ার হুমকিও তাদের দেওয়া হচ্ছে।