নিউজ ডেস্ক, এটিভি সংবাদ
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, আগামী চার বছরের মধ্যে গ্যাসের শতভাগ গ্রাহককে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনা হবে। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে সিলেটের জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেডের প্রিপেইড মিটার প্রকল্পের ডাটা সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় প্রতিমন্ত্রী এই বিতরণ কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্ণার উদ্বোধন করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৫০ হাজার গ্রাহককে ইতোমধ্যেই প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনা হয়েছে। আরো দেড় লাখ গ্রাহককে অচিরেই প্রিপেইড মিটারের আওতায় নিয়ে আসা হবে। ইতোমধ্যেই সেই পরিকল্পনা নিচ্ছে জালালাবাদ। ধাপে ধাপে সিলেট অঞ্চলের সব গ্রাহক প্রিপেইড মিটারের আওতায় চলে আসবে।
তিনি আরও বলেন, প্রিপেইড মিটারের ফলে গ্যাসের অপচয় রোধ হবে এবং গ্রাহকরা সাশ্রয়ী মূল্যে গ্যাস ব্যবহার করতে পারবেন। আগামী দুই বছরের ভেতরে জালালাবাদের সব গ্রাহককে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনা যায়, সে বিষয়ে আপনারা দ্রুত পদক্ষেপ নিন। প্রিপেইড মিটারের জন্য একটি ডাটা সেন্টার চালু করা হয়েছে। গ্রাহকরা কখন কী পরিমাণ গ্যাস ব্যবহার করছেন এই ডাটা সেন্টারের মাধ্যমে এর একটা ধারণা পাওয়া যাবে। কেউ হিসেবে বাইরে অতিরিক্ত গ্যাস ব্যবহার করলে সেটাও এর মাধ্যমে বুঝা যাবে। আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব প্রিপেইড মিটার স্থাপন শেষ করতে। অনেক দিন ধরেই চাপ দিয়ে যাচ্ছি বিতরণ কোম্পানিগুলোকে। এখন বিশ্বব্যাংক, এডিবিসহ অনেকে অর্থায়ন করতে চায়। তারা প্রায় গ্যাসের ৩০ লাখ মিটার স্থাপন করবে।
জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেডের মোট গ্রাহক রয়েছে দুই লাখ ২১ হাজার ৪৬১। এর মধ্যে আবাসিক গ্রাহক রয়েছে দুই লাখ ১৯ হাজার ৭৬৪। ইতোমধ্যে ৫০ হাজার গ্রাহককে প্রিপেইড মিটার দেওয়া হয়েছে। আরও দেড় লাখ মিটার স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, ৫০ হাজার গ্রাহককে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনার প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হয় ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টম্বরে। মাঠ পর্যায়ে মিটার স্থাপন কাজ শুরু হয় ২০২৩ সালের ২৬ এপ্রিল। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয় ১৩৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সঙ্গে স্থানীয় সংসদ সদস্য, কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।