https://Dingdong77game.com https://www.olimpiocotillo.com/ https://www.rdcongoleopardsfoot.com/ https://takeoveranddestroy.com/ https://plaintextebooks.com/ https://moderate-ri.org/ https://addictedtoseries.com/ https://nasstimes.com/ https://ellenlanyon.com/ https://axres.com/ https://hbfasia.org/ https://pavlograd-official.org/ https://ape77slot.com/ https://ape77sport.com/ https://christopheranton.org/ https://eriksmith.org/ https://jaytotoslot.org/ https://mexicovolitivo.com/ https://www.dirtyjokepost.com/ https://bobasportgame.org/ https://139.180.186.42/dingdong77/ https://jaytoto.org/ https://superanunciosweb.com/ ঝিনাইদহ ইসলামী হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু হলো স্কুল ছাত্রীর - atv sangbad ঝিনাইদহ ইসলামী হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু হলো স্কুল ছাত্রীর - atv sangbad
সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:১১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
কক্সবাজার সদরে যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার নীরব থাকার সময় শেষ হয়ে গেছে : পানিসম্পদ উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে অবরোধ চলছে, সড়ক যোগাযোগ বন্ধ গাজীপুরে শ্রমিকদের ১২ দফা দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ ক্ষমতায় গেলে বেকারদের ১০ লাখ টাকা ক‌রে ঋণ দে‌বে জামায়াত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা দিতে দেশে আসছে চীনা মেডিকেল টিম মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন ড. ইউনূস পার্বত্য চট্টগ্রামে ইন্টারনেটসেবা বন্ধ করা হয়নি: উপদেষ্টা নাহিদ ভোলার মনপুরায় ঝড়ের কবলে পড়ে মাছ ধরার ১০ ট্রলারডুবি, নিখোঁজ ১ প্রধান উপদেষ্টা নিউইয়র্ক যাচ্ছেন সোমবার, জাতিসংঘে ভাষণ ২৭ সেপ্টেম্বর

ঝিনাইদহ ইসলামী হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু হলো স্কুল ছাত্রীর

রিপোর্টার নাম / ২১ Time View
Update : শুক্রবার, ২৪ মে, ২০২৪, ১০:০৩ পূর্বাহ্ণ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি, এটিভি সংবাদ: 
এপেন্ডিসাইটিস অপারেশন করতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরতে হলো সূচনা (১৪) নামে এক কিশোরীকে। এমনটিই অভিযোগ স্বজনদের। সে ঝিনাইদহ শহরের ওয়ার্লেস পাড়ার  জাহাঙ্গীর আলম চঞ্চলের মেয়ে এবং কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের ৯ম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে ঢাকার ইউরেসিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, গত ২৬ এপ্রিল ঝিনাইদহের ইসলামি ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতালে সুচনাকে ভর্তি করান বাবা জাহাঙ্গীর আলম চঞ্চল। সেখানে রাত‌ ৮টার দিকে এপেন্ডিসাইটিস অপারেশন করেন ডা: মো: মোজাম্মেল হক।
অপারেশন শেষ করে রোগী নরমাল বেডে দেবার কিছু সময় পরেই রোগীর অবস্থা আশংকাজনক মনে হলে তারা রোগীকে আবারও ওটিতে নিয়ে যায়। প্রায় ৫ঘন্টা পরেও যখন রোগীর জ্ঞান ফেরার কোনো লক্ষ্মণ দেখা যায়নি, তখন হসপিটাল কতৃপক্ষ তড়িঘড়ি করে ঢাকা ইবনে সিনা হাসপাতালে রেফার করেন।
ইবনে সিনা হাসপাতালে বেড না থাকায় সেখান থেকে ইউরেসিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সূচনাকে। সেখানে ২৬ দিনের চেষ্টা ব্যর্থ হলে বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টার দিকে সুচনা শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করে।
মৃতের স্বজনদের অভিযোগ, অপারেশন শেষে রোগীকে বেডে আনলে তার চেহারা নীল বর্ণের এবং হাত-পা গুটিয়ে আনতে দেখা যায়। দ্রুত কর্তৃপক্ষের খবর দিলে, তারা এসে অক্সিজেন দেওয়া লাগবে বলেন। সেসময় অক্সিজেন ম্যানেজ করতেও তারা সময় ক্ষেপণ করেন। তাদের অভিযোগ অবশ করতে এনেস্থিসিয়া ডোজ বেশি মাত্রায় দেয়ার কারণেই রোগীর এমন অবস্থা শুরু হয়।  অপরদিকে হসপিটালের ডা: এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, রোগীর ব্রেনে অক্সিজেনের ঘাটতি থাকার কারণে এমনটা হতে পারে। তারা আরও বলেন, রোগীর হার্ডে প্রব্লেম ছিল, যা হয়তো পরিক্ষায় ধরা পড়েনি। যেকারণে রোগীর হার্ড এটাকও হতে পারে।
এদিকে সূচনার মা কেঁদে কেঁদে সাংবাদিকদের জানায়, সূচনা ওটিতে ঢোকার আগে তার মাকে নিজেই শান্তনা দিয়ে বলেছিল যে, তুমি চিন্তা করোনা মা! আমি ঠিক আছি ইনশাআল্লাহ। আর আমিতো বড়ো হয়ে ডাক্তার হবো। আমাকে ভেঙে পড়লে চলবে না। সূচনার মা বলেন, আমার মেয়ের ডাক্তার হতে ওরা দিলনা। তিনি বলেন, অপারেশনের পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সূচনার জ্ঞান ফেরেনি চোখও খোলেনি। তিনি বলেন, ছোট্ট একটা অপারেশন করতে যদি ভুল চিকিৎসায় রোগী মারা যায়, তাহলে এমন ডাক্তারের হাতে বড় রোগীরা নিরাপদ কোথায়। আমার মেয়ের মত আর কোন মায়ের যেনো কোল খালি না হয়, সেকারণে এই ডাক্তার যাতে আর ডাক্তারি না করতে পারে তার জন্য কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। সেই সাথে বিভিন্ন ক্লিনিকে এসে যেসমস্ত ডাক্তার চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। সেই সমস্ত ক্লিনিক গুলোরও দেখা উচিত ডাক্তারের কোয়ালিটি কেমন।
এদিকে এ ঘটনার পর বিভিন্ন মাধ্যম থেকে একের পর এক ডাক্তার মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসতে থাকে। কারো কারো অভিযোগ, এই ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় কত রোগী মারা গেছে তার কোন ইয়ত্তা নেই। তিনি বর্তমানে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে কর্মরত আছেন। সাতক্ষীরাতে তার ভুল চিকিৎসার অপরাধে কয়েকটি মামলাও হয়েছে। এছাড়াও একজন রোগীর কিডনি আরেকজনকে প্রতিস্থাপন করারও রয়েছে একাধিক অভিযোগ।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে ডাঃ মোজাম্মেল হক মুঠোফোনে জানান, আমার ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে ডাক্তারি পেশায়। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই এবং ভুল চিকিৎসার কোন অভিযোগ নেই।
সূচনার অপারেশনের আগে অবশ করা ডাঃ রেজা সেকেন্দারের কাছে এনেস্থিসিয়া প্রয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চিকিৎসাবিদের মতে ১২ বছরের নিচের শিশুদের এনেস্থিসিয়া প্রয়োগের বিষয়ে নিষেধ করা হয়েছে। তবে ১২ বছরের উপরে গেলে তাকে এনেস্থিসিয়া প্রয়োগ করা যাবে। তিনি বলেন, যেহেতু রোগীর বয়স ১২ বছরের উপরে সেহেতু প্রয়োজন অনুপাতেই তাকে এনেস্থিসিয়া প্রয়োগ করা হয়েছে।
তবে সচেতন মহলের অনেকের দাবি এনেস্থিসিয়া ডোজ বেশি মাত্রায় দেয়ার কারণেই সূচনার জ্ঞান ফেরেনি! অবশেষে ২৭ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে বৃহস্পতিবার সকালে সূচনার মৃত্যু হয়েছে।
উল্লেখ থাকে যে ঝিনাইদহ জেলার নামীদামী প্রাইভেট হাসপাতালে বিগত কয়েক মাসের ব্যাবধানে বেশ কিছু অমীমাংসিত মৃত্যু ঘটেছে। ঔষধ প্রশাসন ও সিভিল সার্জন অফিসে যোগাযোগ করলে তাঁরা জানান এ বিষয়ে তদন্ত চলছে, সিভিল সার্জন আরও জানান,একজন ডাক্তার এক এর অধিক প্রকার চিকিৎসা দিতে পারেন না, কিন্তু জেলার নামকরা ডা. মুন্সী রেজা সেকেন্দার কোন হাসপাতালে এনেস্থিসিয়া দেন আবার কোন হাসপাতালে সরাসরি অপারেশনের মাধ্যমে সিজার ও বিভিন্ন প্রকার অপারেশন  করে থাকেন।
এদিকে সদর থানায় যোগাযোগ করে জানা যায় মৃতের স্বজনেরা থানায় সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে অভিযোগ করেছেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন আমরা তদন্ত সাপেক্ষে খুব দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ