(বারহাট্টা) নেত্রকোনা প্রতিনিধি, এটিভি সংবাদ :
নেত্রকোনা বারহাট্টা উপজেলা আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী খায়রুল কবীর খোকনের পক্ষে প্রকাশ্যে নির্বাচনী প্রচার, প্রচারণায় নেমেছেন সাহতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এরশাদ মিয়া। এমন অভিযোগের তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে গণমাধ্যম কর্মীগণ। চাকরিবিধি ও নির্বাচনী আচরণবিধি কোনটাই মানছেন না শিক্ষক এরশাদ মিয়া। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্গন করে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে শিক্ষক এরশাদ মিয়ার এমন নির্বাচনী প্রচারের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি নিয়ে স্থানীয় মহলে বেশ সমালোচনা হচ্ছে।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি এবং ভিডিওতে শিক্ষক এরশাদ মিয়া মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে সাহতা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে উঠান বৈঠক ও প্রচারপত্র বিলি করতে দেখা যায়।জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের নির্বাচনের প্রচারে অংশ না নেওয়ার বিষয়ে পরিপত্র জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।এটি বাস্তবায়নের জন্য নির্বাচন কমিশন মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশও দিয়েছেন।
তাছাড়া চাকরিবিধিতে উল্লেখ আছে কোন সরকারি কর্মকর্তা কারো পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা করতে পারবেন না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় ইউনিয়নের কয়েকজন ব্যক্তি বলেন, এরশাদ মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েও নিজেকে ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা দাবি করেন। এমনকি অনেক রাজনৈতিক দলীয় গ্রুপিংয়ের মিটিং মিছিলেও উনাকে দেখা যায়। এটিও নিয়ম বহির্ভুত কাজ।
বিষয়টি নিয়ে শিক্ষক মোঃ এরশাদ মিয়া বলেন,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি, ভিডিও আমার নয়। এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আমি কোন নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেননি।এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বলেন, একজন সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে কোন রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে থাকার তো প্রশ্নই আসেনা। এ বিষয়ে ইসির কড়া নির্দেশ রয়েছে। স্কুল-কলেজের শিক্ষক বা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবেন না। এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার দুইজন কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আগামী সাতদিনের মধ্যে রিপোর্ট দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার ববি বলেন, ‘এ ব্যাপারে লিখিত একটি অভিযোগ পেয়েছি। একজন সরকারি কর্মকর্তা কোনভাবেই নির্বাচনী প্রচারণায় যোগ দিতে পারেন না। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্বাচনী সকল দায়িত্ব থেকে বাদ দেয়া হবে এবং তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
জেলা রিটানিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাফিকুজ্জামান বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে প্রেরণ করা হয়েছে। যেহেতু তাদের ডিপার্টমেন্ট, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা হয়েছে।’