বাংলাবাজার-শিমুলিয়ায় ঢাকামুখী যাত্রীদের ভিড়

 

ঈদ শেষে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুট দিয়ে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ।

রোববার সকাল থেকেই লোকাল বাস, মিনি ট্রাক, মাইক্রো, থ্রি-হুইলার ও মোটরসাইকেলে কয়েক গুণ বেশি ভাড়া দিয়ে বাংলাবাজার ঘাটে আসছেন যাত্রীরা, পরে ফেরিতে পাড়ি দিচ্ছে পদ্মা।

জানা যায়, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে যাত্রীদের ভিড়।  শিমুলিয়া থেকে ফেরি এসে ঘাটে ভেড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীরা উঠে পড়ায় গাড়ি আনলোড হতে দেরি হচ্ছে। এতে শিমুলিয়া থেকে পাড় হওয়া গাড়ির যাত্রী ও শ্রমিকরা পড়েছেন বিপাকে।

ঘাট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও যাত্রীদের চাপে তা সম্ভব হচ্ছে না। তবে এই রুটে ১৫টি ফেরি চলাচল করার যাত্রীদের পাড় হতে তেমন কোনো সমস্যা হচ্ছে না। তবে ফেরিসহ কোনো যানবাহনে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। এমনকি ঘাট এলাকায়ও উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি। স্বাস্থ্যবিধি মানাতে জেলা প্রশাসন বা পুলিশ প্রশাসনকে কোনো ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি।

এদিকে ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলমুখী যাত্রীদের চাপও দেখা গেছে। বরিশাল থেকে আসা যাত্রী সালমা বেগম জানান, অনেক কষ্ট করে এসেছি। যদি পথে পরিবহন ও নদীতে লঞ্চ চলত, তা হলে এতে কষ্ট হতো না। অনেক টাকা খরচ করে ঘাটে এসে পৌঁছেছি।

ঢাকা থেকে আসা যাত্রী চৌধুরী শাহজাহান জানান, ঈদের আগেই বাড়ি আসার কথা ছিল। কিন্তু ঈদের আগে ব্যাপক যানজট ও গরমের কারণে ঈদের পরেই ফিরছি। এখন দেখা যায় ঈদের পর যাত্রী চাপ একই রকম।

বাংলাবাজার ঘাটের বিআইডব্লিউটিসি ম্যানেজার সালাউদ্দিন জানান,  এখনও কর্মস্থলমুখী যাত্রীর চেয়ে ঘরে ফেরা যাত্রীর চাপই বেশি। তাই উভয় ঘাট সামাল দিতে দ্রুত বাংলাবাজার ঘাট থেকে পরিবহন ও যাত্রী বোঝাই করে শিমুলিয়ার উদ্দেশ্যে ছাড়া হচ্ছে।