
এস এম ডাবলু, রাজশাহী প্রতিনিধি, এটিভি সংবাদ
থানা মানেই পুলিশ, পুলিশ মানেই হয়রানি, টাকা ছাড়া থানায় কোনো কাজ হয় না। পুলিশ সম্পর্কে জনসাধারণের যখন এমন সব ভ্রান্ত নেতিবাচক ধারণা, ঠিক তখনই সততা ও ন্যায়নিষ্ঠার সঙ্গে রাষ্ট্র কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব পালন করে জনসাধারণের সেই ধারণা পাল্টে দিয়েছেন রাজশাহী জেলার শ্রেষ্ঠ (ওসি) বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাক আহম্মেদ।
তিনি একজন সৎ, নির্ভীক, কর্মঠ ও নিরহংকারী মনের অধিকারী পুলিশ অফিসার। কেউ যদি মনে করেন তাঁকে (ওসি) কে খুশি করার জন্য এ প্রশংসা তাহলে ভুল। কারন যে মানুষ ভালো, তাকে ভালো বলতে না পারার মতো অকৃতজ্ঞ সকলে হতে পারেনা। বাগমারাবাসি ইতিমধ্যেই লক্ষ্য করেছেন, কয়েক বছরে এই থানায় অনেকেই অফিসার ইনচার্জের দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু এমন দায়িত্ববান সৎ, নিষ্ঠাবান অফিসার থানাবাসী এর আগে কোনদিন দেখেছেন কিনা সন্দেহ থেকে যায় জনগনের মনে।
থানার আওতাধীন এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, মাদক নির্মূল, সামাজিক ও মানবিক কাজে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের জন্য থানাবাসীর কাছে ইতোমধ্যে তিনি মানবিক পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। থানায় গিয়ে বা ফোনে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে কোন ভুক্তভোগী হয়রানির শিকার হয়েছেন বা সঠিক দিকনির্দেশনা পাননি এমন দৃষ্টান্ত কেউ স্থাপন করতে পারবে বলে অনেকের মধ্যে কথোপকথনে চ্যালেন্জ লক্ষ্য করা যায় ।
তবে দুই একজন মানুষের কাছে এর ব্যতিক্রম হতে পারে। তারা হলো, স্বার্থের দালাল, তদবীরবাজ অথবা নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য তদবীরে গিয়ে কোন প্রকার সারা না পেয়ে হতাশ হওয়া ব্যক্তি। কারন তিনি যোগদানের পর প্রথম আঘাত হেনেছেন দালাল ও তদবিরবাজদের বিরুদ্ধে। তিনি আসার পর থেকে এই থানার তৃনমুল মহল থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ দিনরাত ২৪ ঘণ্টা বিরতিহীন পুলিশি সেবা পেতে শুরু করেছেন।
সেবা প্রত্যাশী যারা তারা যাতে কোনরুপ হয়রানীর শিকার না হয়, সেই জন্য তিনি সবসময় মোবাইল নেটওয়ার্কসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায় সবসময়ই এ্যাকটিভ থাকেন। কোন কারণে যদি তাঁর মুঠো ফোনের কল রিসিভ করতে না পারেন কিংবা কারও প্রেরিত এসএমএসটি দেখতে একটু দেরি হয়, কাজ শেষে ফ্রী হওয়া মাত্রই তিনি সেই নাম্বারে ফোনকল ব্যাক করে তার সাথে আন্তরিকতার সাথে কথা বলেন। চেষ্টা করেন এসএমএস এর প্রতিত্তর দিতে। এতে তিনি বিন্দুমাত্র বিরক্ত বোধ হননা।
কেউ তাঁর কাছে কোন বিচার প্রার্থী হলে তিনি তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তাঁর মত চৌকস পুলিশ সদস্য যদি প্রত্যেক থানায় দায়িত্ব পালন করতো তাহলে দেশের চেহারাটা দ্রুত বদলে যেত। ওসি মোস্তাক আহম্মেদ সম্পর্কে এমন মন্তব্য করেছেন, গনমাধ্যমকর্মি, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, সমাজসেবক, জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদসহ অসংখ্য সাধারনঅফিসার ইনচার্জ (ওসি) সম্পর্কে বাগমারা উপজেলা চেয়ারমান বাবু শ্রী অনিল সরকার বলেন, এ থানায় তিনি যোগদানের পর থেকেই পুলিশের আচরণ যেমন পাল্টেছে, তেমন থানার চিত্রও বদলেছে। এতে আগের তুলনায় থানায় সেবার মান বেড়েছে বহুগুন। থানার বিট পুলিশিং সেবা বৃদ্ধি ও দৃষ্টিনন্দন করতে এবং সহজেই মানুষকে সেবা দিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তিনি।
পশ্চিম বাগমারার প্রানকেন্দ্র হাটগাঙ্গোপাড়া মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু বক্কর সরকার বলেন, মোস্তাক আহম্মেদ (ওসি) এ থানায় যোগদানের পর থেকেই সৃজনশীল ও যুগোপযোগী পরিকল্পনার ফলে এ থানার পুলিশ হয়ে উঠেছে উপজেলাবাসীর আস্থার ঠিকানা।
মানবিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি যে কোনো অপরাধ দমন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে সর্বদা বাগমারা থানার পুলিশ সজাগ রয়েছেন। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে থানার অন্যান্য সদস্যরা তার দায়িত্বশীল কর্ম পরিচালনা দেখে তাকে অনুসরণ করা শুরু করেছেন।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে গত বারের লকডাউনকালিন সময়ে রাজশাহী মোহনপুর থানায় কর্মরত থাকাকালিন জনগনের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করার পাশাপাশি ব্যক্তিগত উদ্যোগে অসহায় ও ছিন্নমুল মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি মানবিক ও জনবান্ধব পুলিশ হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছেন।
বর্তমানে বৃহত্তম বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হয়ে করোনা মোকাবেলায় সরকার ঘোষিত লকডাউনে সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে জনগনের মাঝে প্রকাশ্যে বা গোপনে নিজ তহবিল হতে অসহায়দের মাঝে আর্থিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি লকডাউনে করোনা সংক্রমণ রোধে বিভিন্ন মহলে জনসচেতনতার দিকনির্দেশনা তুলে ধরেন।
তিনি এই থানায় আইন শৃংখলার উন্নয়নে সর্বোচ্চ গতি এনেছেন। দায়িত্ববোধ, একাগ্রতা এবং অ্যাকশন প্লান তৈরি করার মধ্য দিয়ে বাগমারা থানায় এক স্বর্ণযুগের সূচনার পরিকল্পনা করেছেন তিনি। থানার উন্নয়নে তাঁর প্রতিভা ইতোমধ্যে সবার হৃদয় জয় করেছে। এই সৎ অফিসারের দেখানো পথ ধরেই বাগমারা থানার পুলিশি সেবা আগামীতে আরও অনেকদূর এগিয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা করছেন থানার সর্বস্তরের জনগন।
দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি থানাকে সাজিয়েছেন শৈল্পিক নৈপুণ্যে। তাঁর সৃজনশীলতায় বদলে গেছে বাগমারা থানার চিত্র। ওসি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্বপালন করে তিনি একদিকে যেমন ডিপার্টমেন্টাল সুনাম অর্জন করেছেন, অর্জন করেছেন একাধিক পুরস্কার, পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে তিনি জয় করেছেন অগনিত মানুষের হৃদয়। পেয়েছেন আপামর জনতার ভালোবাসা। তাঁর জনপ্রিয়তা দেখে অনেকেই মন্তব্য করেন, তিনি কোন জন প্রতিনিধি নন, তিনি কোন সুপার স্টার নন, পুলিশ ডিপার্টমেন্টে থেকেও তিনি এত জনপ্রিয়, সত্যিই অবাক করার বিষয়।
এক জরিপে দেখা যায়, ওসি মোস্তাক আহম্মেদ শুধু বাগমারায় নয়, তিনি কর্তব্যরত অবস্হায় যখন যেখানে কর্মরত ছিলেন, তিনি তাঁর মানবিক আচরন ও দায়িত্বশীলতার জন্যই জেলার শ্রেষ্ঠ উপাধি পেয়েছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে ওসি মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, কোনো চাওয়া পাওয়ার জন্য নয়, পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ভালো লাগার জায়গা থেকে কাজগুলো করেছি। তিনি আরো বলেন, মাননীয় আইজিপি মহোদয় সব সময় চায় পেশাদায়িত্ব, দক্ষ ও মানবিক পুলিশ। দায়িত্বশীলতা ও মানবিক মুল্যবোধ থেকে জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আমার খোঁজ খবর রেখেছেন। “পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ” এই কথাটি বাগমারাবাসির সর্বস্তরের মনে বিশ্বাস স্হাপন হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।
