বাগমারায় পাঠদানে অনুমোদনহীন মাদ্রাসা হতে দানকৃত জমি ফেরত চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

এস এম ডাবলু, রাজশাহী প্রতিনিধি, এটিভি সংবাদ 

রাজশাহী বাগমারায় নিজের জমি ফেরত চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করলেন, জমির মালিকের পক্ষে মো: সেলিম রেজা। রাজশাহীর বাগমারা উপজেলাধীন আউচপাড়া ইউনিয়নের মজপাড়া গ্রামের মৃত আক্কাস আলীর ছেলে মোহাম্মদ সেলিম রেজাসহ তার পরিবারের সদস্যরা আজ ১৩/০২/২০২১ ইং শনিবার হাট গাঙ্গোপাড়া মডেল প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ এর মাধ্যমে অভিযোগ করে তারা বলেন, আজ থেকে প্রায় ২০ বছর আগে আমরা এবতেদায়ী ও দাখিল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠান তৈরি করার শর্ত উল্লেখ করে জমি রেজিস্ট্রি করে দিয়ে আজ আমরা চরম বিপাকে পড়েছি।

মৃত আক্কাস আলী গত ১০/ ৭/১৯৮৮ ইং তারিখে ৫২২০ নম্বর দলিলে ০৪ শতাংশ জমি মজপাড়া গাঙ্গোপাড়া এবতেদায়ী ও দাখিল মাদ্রাসার নামে ও তার স্ত্রী মোছাঃ রাহেলা বিবি গত ২২/৩ /২০০৫ ইং তারিখে ২৩৭৯ নং দলিলের ১৫ শতাংশ জমি মজপাড়া গাঙ্গোপাড়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার নামে বিশেষ শর্ত উল্লেখ করে রেজিস্ট্রি করে দেন । শর্তটি হলো “খোদা না করুক কোন কারণে যদি ভবিষ্যতে মাদ্রাসাটি অচল হয়, বা না চলে তাহা হইলে আমার জমি আমারই থাকিবে”।

শর্তটি ৫২২০ নম্বর দলিলের ১৪ নম্বর লাইনে ২৩৭৯ নম্বর দলিলের ৩৮ নম্বর লাইনে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে কিন্তু সরকারী বিধি মোতাবেক শর্ত পূরণ করতে না পারায় ২০০৯ সালে মাদ্রাসাটি পুরোপুরিভাবে বন্ধ হয়ে যায়। ছাত্র ছাত্রী শিক্ষক কর্মচারী এমন কি কমিটি লোকজনও ফিরে তাকায়নি প্রতিষ্ঠানের দিকে ।

এ সময় জমির মালিক পক্ষ দলিলের শর্ত অনুযায়ী জমি ফেরত চাইলে তাদের কাছে কোনো সদুত্তর মেলেনি। মৌখিক ও লিখিতভাবে অভিযোগ করে তৎকালীন পরিচালনা কমিটির কাছে কোনো লাভ হয়নি। । অতঃপর তারা নিরুপায় হয়ে গত ১৯/১১/২০০৯ ইং তারিখে রাজশাহী জেলা জজ আদালতে ২২২ /০৯ নং মামলায় মাদ্রাসা সুপার মোঃ আমজাদ হোসেন ও সিরাজুল সরদারসহ ৪ জনকে বিবাদী করে মামলা দায়ের করেন ।

এই বিষয়টি নিয়ে আজ ১১ বছর যাবৎ জমি উদ্ধারের জন্য আদালতে যাওয়া আশা করছেন এমন অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। এমতাবস্থায় তাদের একটাই দাবি যেহেতু তাদের জমিতে প্রতিষ্ঠান নাই সেহেতু দলিলে উল্লেখিত শর্ত বাস্তবায়নে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।