
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিভিন্ন থানায় ৬০ মামলা রয়েছে প্রতারক সাহেদের বিরুদ্ধে। করোনাভাইরাস পরীক্ষা ও চিকিৎসায় জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগে রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন এসব থানায় মামলা রয়েছে। এর মধ্যে আটক সাহেদের বিরুদ্ধে করা অস্ত্র মামলার চার্জশিট দিয়েছে র্যাব। প্রতারণাসহ আরও দুটি মামলার চার্জশিট শিগগীরই দেয়া হবে বলেও জানান র্যাব কর্মকর্তারা।
করোনা সংক্রমিতদের নমুনা সংগ্রহ করে টেস্ট না করেই রিপোর্ট দেয়াসহ নানা অভিযোগে চলতি বছরের ৬ জুলাই রাজধানীর উত্তরায় রিজেন্ট হাসাপাতালে অভিযান চালায় র্যাব। পরের দিন হাসপাতালের দুটি শাখা সিলগালা করা হয়। মামলা করা হয় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান সাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে। সবশেষ সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে দেশত্যাগের সময় র্যাবের হাতে গ্রেফতার হন সাহেদ করিম।
গ্রেফতারের আগে ১৬টি মামলা ছিল সাহেদের বিরুদ্ধে। গ্রেফতার হওয়ার পর মামলা হয় আরও ১৩টি। ২০০৮ সাল থেকে সাহেদের বিরুদ্ধে ২৯টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। আগের ১৬টি মামলার মধ্যে তার সাজা হয়েছে একটিতে।
পুরনো মামলার চারটিতে খালাস আর পাঁচটি মামলার বিচার স্থগিত হয়েছে। দুইটির অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে তাকে। আর পরোয়ানা হয় দুটিতে। নতুন মামলাগুলোর তদন্ত চলছে।
২০০৯ সালে প্রতারণার অভিযোগে উত্তরা ও লালবাগ থানায় ৪টি মামলা হয়। সেগুলো থেকে খালাস পান তিনি। প্রতারণার আরও ৫টি মামলা রয়েছে সাহেদের বিরুদ্ধে। অজ্ঞাত কারণে মামলাগুলো স্থগিত হয়ে যায়।
বেশ কিছু মামলার তদন্ত করছে র্যাব, সিআইডি, থানা পুলিশ ও দুদক। র্যাবের দায়ের করা তিনটি মালমার একটির চার্জশিট দেয়া হয়েছে, বাকীগুলোর কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
র্যাব মিডিয়া পরিচালক আশিক বিল্লাহ জানান, উনি প্রতারণাকে এমন একটি নিপুণ শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন যাতে সাধারণ মানুষের পক্ষে বিচার-বিশ্লেষণ করে তাকে নিরুপণ করা সত্যিই দুরূহ। এর ফলশ্রুতিতে র্যাব বাদী হয়ে সর্বমোট তিনটি মামলা দায়ের করে।
গ্রেফতারের পর সাহেদের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ আসে। এছাড়াও অনেক অভিযোগ রয়েছে সাহেদের বিরুদ্ধে বলে জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা।
র্যাব কর্মকর্তা আশিক বিল্লাহ বলেন, সর্বমোট আমরা ১৩৮টি অভিযোগ পেয়েছি এবং ই-মেইল পেয়েছি প্রায় ১২টির মতো। সব মিলিয়ে ১৫০টির মতো সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণসহ সাহেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমরা পেয়েছি।
মানুষের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে সাহেদ সে টাকা বিদেশে পাচার করেছে বলেও শৃংখলা বাহিনীর তদন্তে উঠে এসেছে।
র্যাব কর্মকর্তা জানান, সাহেদ করিম চারটি দেশে মূলত ঘন ঘন যাতায়াত করতেন। আমাদের ধারণা, এসকল দেশে উনি অর্থ-সম্পদ গড়ে থাকতে পারেন।