
আহসান হাবীব, এটিভি সংবাদ
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ২০ হাজার টাকায় উন্নীত করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে প্রদান কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
সব মুক্তিযোদ্ধার ভাতা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সব মুক্তিযোদ্ধার ভাতা ২০ হাজার করে দেওয়ার কথা বলেছি। তবে বীরশ্রেষ্ঠ ও বীর উত্তম ছাড়া, তাদের বিষয়টি ভিন্ন।’ একইভাবে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ভাতাও এমন সমান একটা অঙ্কে ঠিক করে দেওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মন্ত্রণালয় ও জামুকা মিলে এটি করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা অনেকের ঘরবাড়ি নেই। তাদের ঘরবাড়ি করে দিচ্ছি। যাদের ত্যাগে দেশ পেলাম, সেই মুক্তিযোদ্ধাদের ঘরবাড়ি থাকবে না, আমি ক্ষমতায় থাকতে এটা হতে পারে না।’
এ সময় বিত্তবানদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন না করলে বিত্তশালী হতে পারতেন না। মুক্তিযোদ্ধাদের ভালো রাখার জন্য অন্তত আপনারা তাদের পাশে দাঁড়ান। আমিও সরকারিভাবে আমার করণীয় যেটা করছি, করব।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা মুক্তিযোদ্ধার বিরোধিতাকারী এবং জাতির পিতার আত্মস্বীকৃত খুনি, তারাই মূলত ক্ষমতায় চলে আসে।’ সেসময় জনগণের ভোটের অধিকার পর্যন্ত কেড়ে নেওয়া হয় বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৯৯৬ সালের আজকের এই দিন স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯৬ সালের আজকের এই দিনে বাংলাদেশে একটা ভোটারবিহীন নির্বাচন হয়েছিলো।’
তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের পর জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে শুধু মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নস্যাৎ করেছেন তা নয়, মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিলেন।’
শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতিটি ঘর আলোকিত হবে। প্রতিটি মানুষ উন্নত জীবন পাবে, এটাই আমাদের লক্ষ্য। জাতির পিতার যে স্বপ্ন, ক্ষুধামুক্ত ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তোলা—আমরা সেই স্বপ্নই বাস্তবায়ন করতে চাই, লাখো শহীদের রক্তে অর্জিত এই বাংলাদেশ হবে বিশ্বে উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ।’
অনুষ্ঠানে কুড়িগ্রাম, গাজীপুর, মৌলভীবাজার, খুলনা, চাঁদপুরসহ বিভিন্ন জেলার উপজেলা থেকে মুক্তিযোদ্ধারা ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রী তাদের সঙ্গে কথা বলেন।
এ সময় অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জল হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ সচিবসহ সরকারের পদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
