
দেশের বাহিরে ডেস্ক:
ভারতে ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হলেন ৬১ হাজার ৪০৮ জন। এই সময়ের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৮৩৬ জনের। পাশাপাশি শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫৭ হাজার ৪৬৮ জন।নতুন করে সংক্রমণের জেরে ভারতে মোট করোনা সংক্রান্তর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩১ লাখ ৬ হাজার ৩৪৯ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৩ লাখ ৩৮ হাজার ৩৬ জন। মৃত্যু হয়েছে মোট ৫৭ হাজার ৫৪২ জনের।
অন্যদিকে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, টানা ছ’দিন ধরে প্রতিদিন ৮ লাখ স্যাম্পেল পরীক্ষা করা হচ্ছে। ভারতে মোট করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৩ কোটি ৫২ লাখ। শুধু তাই নয় করোনা পজিটিভ হওয়ার হার একধাক্কায় অনেকটাই কমেছে। টেস্ট বাড়াল ফলে দ্রুত নজরে আসছে তাতেই সাফল্য পেয়েছে ভারত।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণলায় জানিয়েছে, সব জায়গাকে আলাদা আলাদা করে নজরে রেখে বাড়ানো হয়েছে পরীক্ষা। গণহারে পরীক্ষাকে গুরুত্ব দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।“শেষ তিন সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন টেস্ট বেড়ে যাওয়ায় গোটা দেশেই পরীক্ষা বাড়ানো হয়েছে সে ছবি স্পষ্ট। প্রতিদিন প্রচুর পরীক্ষা হওয়ার পরেই করোনা পজিটিভ হওয়ার গড় হার কমেছে”, এমন তথ্যই দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এদিকে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন ইঙ্গিত দিয়েছেন, চলতি বছরের শেষে ভারতে আসতে পারে কোভিড টিকা। গাজিয়াবাদে এনডিআরএফ-এর একটা দশ শয্যার হাসপাতালের উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, “দেশে তৈরি তিনটি ভ্যাকসিনের মধ্যে একটার ক্লিনিকাল ট্রায়াল তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে। আশা করি চলতি বছরের শেষে উৎপাদন শুরু করতে পারবো।” তার দাবি, আট মাসের দীর্ঘ লড়াইয়ে দেশে সুস্থতার হার ৭৫%। মোট ২২ লাখ মানুষ এখনো পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন। আরো সাত লাখ মানুষ খুব দ্রুত আরোগ্য লাভ করবেন।” কোভিড পরিকাঠামো প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রী জানান, আমরা পুণের মাত্র একটা ল্যাবরেটরি দিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম। এখন দেশে দেড় হাজার ল্যাবরেটরি।