
নিজস্ব প্রতিবেদক, এটিভি সংবাদ
চার প্রতিষ্ঠানকে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশে প্রতিদিন গড়ে চাহিদা চার কোটি ডিম। অর্থাৎ এক দিনের ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অনুমোদন পাওয়া প্রতিষ্ঠান চারটি হচ্ছে মেসার্স মীম এন্টারপ্রাইজ, প্রাইম এনার্জি ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড সাপ্লাইয়ার্স, টাইগার ট্রেডিং এবং অর্ণব ট্রেডিং লিমিটেড। দেশে ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ার পর কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ডিম আমদানি করতে অনুমতি চেয়েছিল। তাদের মধ্য থেকে চারটি প্রতিষ্ঠানকে সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ডিম আমদানির এ অনুমতি দেয়।
বাজারে ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কিছুদিন ধরেই ডিম আমদানি নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। গত বৃহস্পতিবার বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সংবাদ সম্মেলনে আলু ও পেঁয়াজের সঙ্গে ডিমের দামও বেঁধে দেন।
প্রতিটি ডিমের দাম ১২ টাকা নির্ধারণ করে দিয়ে ওই সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বেঁধে দেওয়া দামে ডিম বিক্রি করা না হলে আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে।’ এরই ধারাবাহিকতায় ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
জানা যায়, ভারতে খুচরা পর্যায়ে ডিমের পিস গড়ে ৫ রুপিতে। সে হিসাবে বাংলাদেশি মুদ্রায় তা ৬ টাকা ৬৫ পয়সা। কিন্তু আমদানিকারকরা বিশাল অঙ্কে আমদানি করবেন। সাধারণত তখন ৩ থেকে ৪ রুপিতে দাম পড়ার কথা। যেহেতু মন্ত্রী নিজেই ১২ টাকা দাম নির্ধারণ করে দিয়েছেন। ৬ থেকে ৭ টাকা দরে আমদানি করা ডিম ১২ টাকায় বিক্রি হলে লাভবান হবে আমদানিকারকরাই।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দেশে প্রতিদিন চার কোটি ডিমের প্রয়োজন হয়। এজন্য দেশের বাজারে ডিমের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে প্রাথমিক পর্যায়ে সরকার আমদানির পর বাজার স্থিতিশীল আছে কি না, তা পর্যবেক্ষণ করবে এবং বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, দেশের বাজারে প্রতিটি ডিম তারা ১০ টাকার কমে বিক্রি করতে পারবে। ভারত থেকে ডিম আনতে সময় লাগতে পারে এক সপ্তাহ।
