‘মাস্ক নিয়ে পিয়াজের মতো ব্যবসা হচ্ছে কি না, তা নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে’

স্টাফ রিপোর্টার:
কেউ যাতে মাস্কসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের মূল্য বৃদ্ধি এবং অবৈধ মজুত করতে না পারে, সেজন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার পরামর্শ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই পরামর্শ দেন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার করোনা ভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। এরপর আদালত এ কার্যক্রমের অগ্রগতি জানাতে আগামী ৫ই এপ্রিল পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

আদালত বলেন, মাস্ক ব্যবহারে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হচ্ছে। তবে মাস্ক নিয়ে পিয়াজের মতো ব্যবসা হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিষয়টি তদারকি করা দরকার, কেউ যাতে বেশি দাম না নিতে পারেন এবং মজুত না করতে পারেন। মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধির বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে।

গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সতর্কতামূলক নির্দেশনাগুলো দিতে হবে। এ সময় আদালতে থাকা জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, মাস্ক নিয়ে বলবো, এখন ১০ টাকার মাস্ক ১২০ টাকা নিচ্ছে। এটা নিয়ে একটা নির্দেশনা দিন। সরকার ইচ্ছা করলে মাস্ক ফ্রি দিতে পারে। জবাবে আদালত বলেন, ১৬ কোটি মাস্ক দেয়ার মতো অবস্থা নেই। একটা হতে পারে, যারা সন্দেহের মধ্যে আছে বা আক্রান্ত হাসপাতালে যায় তাদের জন্য ব্যবস্থা করা যায় কিনা। সচেতনতার বিষয়ে আদালত বলেন, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে এমনভাবে সচেতনতামূলক বিষয় প্রচার করতে হবে, যাতে মানুষের দৃষ্টিগোচর হয়।