মা ও শিশুকে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত, আটক হয়নি বখাটে

নিজস্ব সংবাদদাতা:

বখাটের কোপে ক্ষতবিক্ষত মাকে বাঁচাতে এগিয়ে এসে রক্ষা পেলো না সাত বছরের শিশুটিও। তাকেও উপর্যুপরি কোপানো হয়। শনিবার সকাল ১০টার দিকে কাশিয়াডাঙ্গী থানার রায়পাড়ায় এ নৃশংস ঘটনাটি ঘটে। মা ও শিশুটিকে গুরুতর আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, রনির পরিবারের কয়েজনজন সদস্য পুলিশে চাকরি করার সুবাদে এখনও তাকে আটক করা হয়নি।

 

নির্যাতনের শিকার ও নারীর নাম শারমিন নাহার (২৬)। তার স্বামী রাজশাহীর একটি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। সম্প্রতি তারা নগরীর কোর্ট কলেজপাড়া থেকে রায়পাড়ায় ভাড়া বাসায় উঠেছেন।

 

হামলকারী ওই যুবকের নাম রনি আহাম্মেদ (২৩)। তিনি রাজশাহী নগরীর কোর্ট কলেজের সম্মান তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। বাবার নাম মকবুল হোসেন। বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলায়। এদিকে যে থানায় ঘটনাটি ঘটেছে সেই থানায় পুলিশের উপ পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত আছেন রনি খালাতো বোন মৌসুমী বেগম। জানা গেছে, রনির ভাবীও রাজশাহী মহানগর পুলিশে চাকরি করেন।

 

স্থানীয়রা জানান, আগে একই বাসায় ভাড়ায় থাকতেন শারমিন নাহার ও ওই কলেজ ছাত্র রনির পরিবার। শারমিন তার সাত বছরের শিশু সন্তান ও স্বামীসহ থাকতেন নিচতলায়। আর রনির পরিবার থাকতেন বাসার তৃতীয় তলায়। রনি প্রায়ই শারমিনকে উত্ত্যক্ত করত। তার কবল থেকে বাঁচতে বাসা বদল করে নতুন ঠিকানায় উঠেছিলেন শারমিন। ঠিকানা জোগাড় করে রনি শনিবার ক্ষিপ্ত হয়ে সেই বাসায় গিয়েই শারমিনকে কুপিয়ে জখম করেছে। এসময় মাকে বাঁচাতে এলে সাত বছরের শিশুকেও একইভাবে কুপিয়ে জখম কর হয়।

 

শারমিনের স্বামী রেজাউল করিম বলেন, বাসার পাশে চায়ের দোকানে ছিলাম। হামলার খবর পেয়ে ছুটে গিয়ে দেখি, ধারালো অস্ত্র হাতে রনি তার স্ত্রী-সন্তানকে কোপাচ্ছে। তাদের উদ্ধার করার সময় রনি দ্রুত পালিয়ে যায়। সারাদিন স্ত্রীর জ্ঞান ছিল না। শনিবার সন্ধ্যায় তার জ্ঞান ফিরে। কিন্তু তিনি পরিষ্কার করে কথা বলতে পারছে না। তার সারা গায়ে আঘাতের চিহ্ন। মাথায় রয়েছে গুরুতর জখম।

 

এদিকে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, শারমিন এবং তার সন্তান পাশাপাশি দুটি বেডে শুয়ে আছে। মায়ের মতো ছেলেও নির্বিকার। সেও কথা বলছে না।

 

নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মশিউর রহমান জানান, এই ঘটনায় মামলা হয়েছে। আইন নিজস্ব গতিতে চলবে। কেউই মামলা প্রভাবিত করতে পারবে না। হামলাকারীকে আটকের চেষ্টা চলছে।