নিজস্ব প্রতিবেদক: মিয়ানমারে চলমান সংঘাত নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার ভারত সফর উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকরের আমন্ত্রণে ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি হাছান মাহমুদ দিল্লি সফর করেন। সফরকারে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পাশাপাশি তিনি ভারতের প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, বাণিজ্যমন্ত্রী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারত – উভয় দেশেরই মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে। মিয়ানমারে যদি কোনও কিছুর উদ্রেক ঘটে, তাহলে সেটি আমাদের যেমন ক্ষতিগ্রস্ত করে, উদ্বিগ্ন করে, তাদেরও উদ্বিগ্ন করে। দুই দেশের উদ্বেগ তাদের প্রতিবেশী নিয়ে। সুতরাং আমাদের একসঙ্গে কাজ করার অনেক বিষয় আছে। আমরা ওই বিষয়গুলো নিয়ে কাজের বিষয়ে আলোচনা করেছি।’
রাখাইনে সংঘাতের কারণে সীমান্তে কিছুটা নিরাপত্তা সমস্যা তৈরি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের অভ্যন্তরে তাদের শেল এসে পড়েছে এবং দুই জন মানুষ নিহত হয়েছে। এটি অগ্রহণযোগ্য।’
মিয়ানমারে চলমান সংঘাত নিয়ে বাংলাদেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে আমাদের বক্তব্য জানানো হয়েছে। সুতরাং তাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে এখানে কোনও কিছু বিঘ্নিত হোক, এটা আমরা চাই না বলেও তিনি জানান।
মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য যারা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে, তাদের সবাইকে মিয়ানমার ফিরিয়ে নিয়ে যাবে এবং এটি খুব সহসা হবে বলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান।
ছয় পণ্যের কোটা
ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পিয়ুশ গোয়েলের সঙ্গে বৈঠকে ছয়টি নিত্য পণ্যের আমদানির ক্ষেত্রে কোটা রাখার জন্য অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ।
এ বিষয়ে মন্ত্রী জানান, ছয়টি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের ক্ষেত্রে আমরা একটি কোটা চেয়েছি। এছাড়া তারা আমাদের ২০ হাজার টন পেঁয়াজ ও ৫০ হাজার টন চিনি পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিলে আমি সেটিকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ ও এক লাখ টন চিনিতে উন্নিত করার অনুরোধ করেছি।
এসময় বিএনপির বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি এখন পুরোনো গাড়ি। স্টার্ট দিয়ে কোনোরকমে চালু রাখার চেষ্টা করছে। যাতে তাদের নেতাকর্মীরা চাঙ্গা থাকে। আশা করি বিএনপি গণতান্ত্রিক কার্যক্রমের মধ্যেই থাকবে। বিএনপি বিভিন্ন কর্মসূচী দিয়ে তাদের হতাশা কাটানোর চেষ্টা করছে। সরকারে থাকলে সমালোচনা হবেই। কিন্তু তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে অগ্নিসন্ত্রাস করতে দেয়া হবে না