
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি, এটিভি সংবাদ
কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌরসভার মেয়রসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে দুই কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে মো. তাবারুক হোসেন নামে এক ব্যক্তি কিশোরগঞ্জ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। বাদী তাবারকের বাবার নাম শব্দর আলী এবং বাড়ি ভৈরবের সম্ভুপুর গ্রামে। কিশোরগঞ্জ দ্বিতীয় যুগ্ম জেলা জজ আদালতে দায়ের করা মামলার এজাহারটির সমন বুধবার সকালে মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ফখরুল আলমসহ সব বিবাদী হাতে পেয়েছেন। মামলায় কাউন্সিলর, পুলিশ, ব্যবসায়ী ও সাংবাদিককেও আসামি করা হয়েছে।
অন্য বিবাদীরা হলেন ভৈরব পৌরসভার প্রধান সহকারী মো. ইমাম হোসেন, ব্যবসায়ী জিল্লুর রহমান, বাদল মিয়া, লিয়াকত আলী, আ. হেকিম, আওয়ামী লীগ নেতা মির্জা সুলাইমান, পৌর কাউন্সিলর হাবিবুল্লাহ নিয়াজ, কাউন্সিলর দ্বিন ইসলাম, পৌরসভার প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আল-আমিন, পুলিশের এসআই মো. মাজহারুল ইসলাম ও সাংবাদিক মিলাদ হোসেন অপু।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বাদী তাবারুক হোসেনের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ফারুক মিয়া নামের এক কর্মচারী ছিল। গত ২০০৯ সালের ৭ মার্চ ওই কর্মচারী ক্যাশের দুই লাখ ১১ হাজার ৫৭৮ টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যায়। পরে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধে তাবারুক হোসেন আদালতে মামলা দিলে আদালত সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে কর্মচারী ফারুক মিয়াকে এক বছর কারাদণ্ডসহ তিন হাজার টাকা জরিমানা করে।
এরপর আসামি ফারুক মিয়া মামলাটি উচ্চ আদালতে আপিল করলে আদালত নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখেন। এরপর বাদী তার পাওনা টাকা আদায় করতে বাজিতপুর সাব জজ আদালতে একটি মামলা করেন। আদালত তার বাড়িঘর ক্রোক করে পাওনা টাকা আদায় করতে পুলিশকে নির্দেশ দেয়। এই রায়ের পর বিনা কারণে মামলার ১২ আসামি যোগসাজশ করে বাদী তাবারুক হোসেনকে ২০১৭ সালের ২০ সেপ্টেম্বর পৌরসভায় ডেকে এনে মারধর করার পর পুলিশে সোপর্দ করে এবং থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে পৌরসভার প্রধান সহকারী ইমাম হোসেন।
বাদীর অভিযোগ মেয়রের নির্দেশে মামলাটি করা হয়। পরে বাদী দুই মাস ১৭ দিন জেল খাটার পর হাইকোর্ট থেকে জামিন পান। এরপর পৌর কর্তৃপক্ষের মামলাটি সাক্ষ্যপ্রমাণের অভাবে আদালত খারিজ করে দেন। ভৈরব পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট ফখরুল আলম আক্কাছ জানান, তাবারক হোসেন একজন মিথ্যাবাদী। তাই তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। মামলাটি তদবির না করায় আদালত খারিজ করেছেন। তিনি বলেন, বিষয়টি আমি আইনিভাবে লড়ব।
