
নিজস্ব প্রতিবেদক:
এবার রেলপথে বাণিজ্য চুক্তিতে ভারত বাংলাদেশের সাথে যুক্ত হচ্ছে নেপাল। সম্প্রতি ভারতের দেয়া আশ্বাসে, এই সংক্রান্ত খসড়ার অনুমোদনও দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। যা বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের সাথে আমদানি রপ্তানি বাড়বে হিমালয়ের দেশটির। চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর থেকে ভারতের সিঙ্গাবাদ হয়ে রেলরুটটি যাবে নেপালের বীরগঞ্জে। এজন্য অবকাঠানো উন্নয়নের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানির অনুমতি আছে ৬টি রুটে। যার মধ্যে সবচেয়ে কম ৫১৪ কিলোমিটার পাড়ি দিতে হয় দিনাজপুরের বিরল থেকে ভারতের রাধিকাপুর হয়ে নেপালের বিরগঞ্জ পৌঁছাতে। যেজন্য সময়ের পাশাপাশি গুণতে হয় মোটা অঙ্কের খরচ।
এটি কমাতে ১৯৯৯ সালে রেলপথে আমদানি-রপ্তানির প্রস্তাব দেয় নেপাল। তারই প্রেক্ষিতে ২০১০ সালে বাংলাদেশ-ভারত ট্রানজিট চুক্তি হলেও, বাইরে থেকে যায় হিমালয়ের দেশটি। ফলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর থেকে ভারতের সিঙ্গাবাদ পর্যন্ত রেলরুটে কার্যক্রম সীমাবদ্ধ থাকে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যেই। তবে, এক দশক পর আবারো সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে নেপালকে যুক্ত করে ত্রিদেশীয় ট্রানজিট চুক্তির।
ভারতের আশ্বাসে আগস্টের শুরুতে বাংলাদেশ-নেপাল পণ্য পরিবহনের সংশোধনী চুক্তির খসড়ায় অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। যা কার্যকর হলে রেলপথে দূরত্ব নেমে আসবে ২১৭ কিলোমিটারে। যার ফলে বাড়বে দুই দেশের বাণিজ্য।
ট্রানজিট চুক্তির সুফল পেতে রহনপুর রেল স্টেশনের অবকাঠামো উন্নয়নের দাবি জানান, ব্যবসায়ী নেতারা। সে দাবিতে সমর্থন দিচ্ছেন স্টেশন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বও।
২০১৯-২০ অর্থবছরে নেপালে ৩৮৮ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ। বিপরীতে আমদানি হয় ১শ কোটির নিচে।