শেরপুর, এটিভি সংবাদ :
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শেরপুরে নির্বাচনী জনসভায় ভার্চুয়ালী যোগ দিয়ে বক্তব্য রাখেন। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকাল চারটার দিকে শহরের দারোগ আলী পৌর পার্কে জেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সাধারণ মানুষের কাছে জেলার তিনটি আসনের জন্য নৌকা প্রতীকে ভোট চান।
তিনি নৌকায় ভোট চাইলেও হতাশ করেননি স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও। স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে যেই নির্বাচিত হবে তাকেই মেনে নেয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, এবারের নির্বাচন নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র আছে। বিএনপির কাজই হচ্ছে সন্ত্রাস ও নাশকতা করা। জনগনের ভোটে নির্বাচিত হয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা আমরা ধরে রেখেছি। একমাত্র আওয়ামীলীগই পারবে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ধরে রাখতে।
তার জন্য আপনারা জনগনের ঘরে ঘরে দোয়ারে দোয়ারে যাবেন নৌকা মার্কায় ভোট চাইতে। আরেকটি কথা এবারের নির্বাচন নিয়ে যেহেতু জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে নানা রকম চক্রান্ত। এ কারণে নির্বাচনটা যাতে উৎসব মূখর হয়, পরিবেশটা যাতে সুন্দর হয়, প্রতিদ্বন্ধিতা পূর্ণ হয়। কারণ একটা রাজনৈতিক দল বিএনপি সন্ত্রাসী দল, আরেকটা দল জামাত যুদ্ধাপরাধী দল, তারা নির্বাচনে না আসলে নির্বাচন অংশগ্রহণ মূলক হবেনা এটা আমরা বিশ্বাস করিনা। ভোটারদের অংশ গ্রহনের মাধ্যমে হবে অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচন। সেই কারণে আমরা কিন্তু এটা উন্মুক্ত করে দিয়েছি। হ্যা আমরা নৌকা মার্কা দিয়েছি, আরো যারা দাড়াতে চায় তারাও দাড়াবে। তবে পরিবেশ শান্তুিপূর্ণ রাখতে হবে। যার যার ভোট সে চাইবে, জনগন যাকে খুশি তাকে দেবে। এটা আমাদেরই শ্লোগান। সেই কথাটা মনে রেখে যারযার ভোট সে চাক। জনগন যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে সেটাই আমরা মেনে নেবো।
প্রধানমন্ত্রীর এমন ঘোষনায় উৎফুল্ল হয়ে ওঠেছে স্থানীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এ ঘোষনাকে স্বাগত জানিয়েছেন শেরপুর-১ সদর আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ছানোয়ার হোসেন ছানু।
তিনি বলেন, আমরা জনপ্রিয়তাই যাছাই করতে চাই। জনগনকে অংশ গ্রহণ করাতে চাই। আশাকরি আমরা নির্বাচিত হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে স্বচ্ছ নির্বাচন উপহার দিতে পারবো।