সম্রাটের বিরুদ্ধে রমনা থানায় অর্থপাচার আইনে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
ক্যাসিনোসম্রাট খ্যাত যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের (৪৯) বিরুদ্ধে রাজধানীর রমনা থানায় অর্থপাচার আইনে মামলা দায়ের করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মামলা নং- ১৪। রোববার সন্ধ্যায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টার থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

রোববার বিকেলে মামলাটি দায়ের হয়েছে বলে জানা গেছে। মামলাটি ২০১২ সালের মানিলন্ডারিং আইনের ৪(২) ধারায় দায়ের করা হয়।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসমি সম্রাট রাজধানীর কাকরাইলের ৭৪/এ নম্বর ভবনের ৪র্থ তলায় মেসার্স হিস মুভিজ নাম ব্যবহার করে ২০১৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ৯ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে নানান ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণে অবৈধ অর্থ উপার্জন করেন। আসামি তার অপরাধলব্ধ আয়ের উৎস গোপন করার উদ্দেশ্যে তার সহযোগী আসামি এনামুল হক আরমান (৫৬) এর সহায়তায় অবৈধভাবে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় আনুমানিক ১৯৫ কোটি টাকা পাচার করেছে মর্মে প্রাথমিক অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে।

সম্রাট বিশেষ করে রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন, ফকিরাপুল এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে অবৈধভাবে বিপুল অঙ্কের অর্থ উপার্জন করেছে বলে জানা গেছে।

সিআইডির কর্মকর্তারা জানান, সম্রাট ২০১১ সাল থেকে ২০১৯ সালে গ্রেপ্তারের আগ পর্যন্ত ৩৫ বার সিঙ্গাপুরে, ৩ বার মালয়েশিয়ায়, ২ বার দুবাইতে এবং ১ বার হংকংয়ে ভ্রমণ করেছে। এছাড়া তার সহযোগী এনামুল হক আরমান ২০১১ সাল থেকে ২০১৯ সালে গ্রেপ্তারের আগ পর্যন্ত ২৩ বার সিঙ্গাপুরে ভ্রমণ করেছে। সম্রাট ও আরমান অবৈধ অর্থ দিয়ে যৌথভাবে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে।

ক্যাসিনোবিরোধী বিশেষ অভিযানের ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর চৌধুরী বাড়ি থেকে সহযোগী আরমানসহ সম্রাটকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এরপর তার বিরুদ্ধে রাজধানীর রমনা থানায় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়া জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনেও (দুদক) তার বিরুদ্ধে ১টি মামলা দায়ের করা আছে। মানি লন্ডারিং আইনের নতুন এই মামলাসহ সম্রাটের বিরুদ্ধে মোট ৪টি মামালা দায়ের হয়।