


কক্সবাজার প্রতিনিধি :
সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় গ্রেফতার পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষীকে দ্বিতীয় দফায় চারদিন করে রিমাণ্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
প্রথম দফা রিমাণ্ড শেষে তাদেরকে ৭ দিন করে রিমাণ্ডে নেয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) এ আদেশ দেন কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ।
রিমাণ্ড মঞ্জুর করা আসামিরা হলেন টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশবুনিয়া এলাকার বাসিন্দা মো. নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও মোহাম্মদ আয়াছ। এর আগে গত ২০ আগস্ট প্রথম দফায় তাদের সাত দিনের রিমাণ্ড শেষ হয়।
এর আগে সোমবার (২৪ আগস্ট) অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত হওয়া পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ সাত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দ্বিতীয় দফায় চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন কক্সবাজারের আদালত। অন্য পাঁচ আসামি হলেন টেকনাফ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিত, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, কামাল হোসেন, কনস্টেবল সাফানুর করিম ও আব্দুল্লাহ আল-মামুন। মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা কক্সবাজারে র্যাবে কর্মরত সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) খাইরুল ইসলাম।
গত ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলির গুলিতে নিহত হন মেজর সিনহা। ঘটনার পর টেকনাফ থানায় দুটি ও রামু থানায় একটি মামলা করে পুলিশ।
এরপর গত ৫ আগস্ট কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এতে নয়জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হলেন টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাস, বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত হওয়া পরিদর্শক লিয়াকত আলি, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, এএসআই লিটন মিয়া, পুলিশ কনস্টেবল সাফানুর রহমান, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন, মো. মোস্তফা ও এসআই টুটুল। তাদের মধ্যে মোস্তফা ও টুটুল পলাতক রয়েছেন।
ওই হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত সাত পুলিশ সদস্য, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্য ও টেকনাফ পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষীসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।