
অনলাইন ডেস্ক, এটিভি সংবাদ
১২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কা শেষ পর্যন্ত ৫০ রান পর্যন্ত যেতে পারল। কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে রবিবার এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে চরম বিপর্যয়ে পড়ে লঙ্কানরা। মোহাম্মদ সিরাজের বোলিং তোপে গুঁড়িয়ে গেছে তারা। এই পেসারের আগুনে পুড়েছেন ৬ লঙ্কান।
এদিনের স্কোরটি ওয়ানডেতে লঙ্কানদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। ২০১২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪৩ তাদের সর্বনিম্ন স্কোর। এদিন কুশল মেন্ডিসের ৩৪ বলে ১৭ ও দুশান হেমন্তর অপরাজিত ১৩ রান ছাড়া দলটির কেউ দুই অঙ্কের স্কোর করতে পারেননি।
ইনিংসের চতুর্থ ওভারে ৪ উইকেট তুলে নেওয়া সিরাজ মোট ৭ ওভার বল করে ২১ রান খরচায় ৬ উইকেট নিয়েছেন। যা এই ডানহাতির ক্যারিয়ারসেরা বোলিং। বাকি উইকেট ভাগ করে নিয়ে জাসপ্রতি বুমরাহ ও হার্দিক পান্ডিয়া। পান্ডিয়া মাত্র ২.২ ওভারে ৩ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়েছেন। বুমরাহর শিকার একটি। ইনিংসের প্রথম ওভারে কুশল পেরেরাকে ফিরিয়ে ভারতের আধিপত্যের শুরুটা করেন বুমরাহ। এরপর সিরাজ নিজের দ্বিতীয় ও ইনিংসের চতুর্থ ওভারে দুঃস্বপ্ন উপহার দেন স্বাগতিকদের। একে একে তুলে নেন পাথুম নিশাঙ্কা, সাদিরা সামারাবিক্রমা, চারিথ আসালঙ্কা ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে। পরের ওভারে ফিরে দাসুন শানাকাকে নিজের পঞ্চম শিকার বানান। তাতে ৫.৪ ওভারে মাত্র ১২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে শ্রীলঙ্কা। টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় খানিকটা ব্যতিক্রম ছিলেন তিন নম্বরে নামা কুশল মেন্ডিস। ১২তম ওভারে তাকে বোল্ড করে ষষ্ঠ শিকার ধরেন সিরাজ। বাকি তিনটি উইকেট নিয়েছেন পান্ডিয়া। ১৩তম ওভারে ৮ রান করা ভেল্লালাগেকে ফেরান। ১৬তম ওভারে প্রথম দুই বলে তুলে নেন প্রমোদ মাদুসান ও মাথিশা পাথিরানাকে। তাতেই গুটিয়ে যায় লঙ্কানদের ইনিংস। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথম ৫ উইকেট শিকার করা সিরাজ এদিন অনেকগুলো কীর্তিই গড়েছেন। ৫ উইকেট শিকার করেছেন যেমন মাত্র ১৬ বলে। শ্রীলঙ্কার চামিন্দা ভাসের পর দ্বিতীয় বোলার হিসেবে এই কীর্তি তার। ভাস ২০০৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৬ বলে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন।
ওয়ানডেতে সিরাজের ৫০ উইকেট পূরণ হয়েছে এদিন। সেটাও ভারতীয় বোলারদের মধ্যে চতুর্থ দ্রুততম বোলার হিসেবে। আর তার এদিনের বোলিং ফিগারটি ওয়ানডেতে ভারতীয় বোলারদের মধ্যে চতুর্থ সেরা।
