
ডেস্ক রিপোর্ট:
বৃষ্টি হলে অনেক সময় দেখা যায় খাল-বিল থেকে কিছু মাছ পানির ধারা বা স্রোতের সঙ্গে ডাঙায় উঠে আসে। সাগর বা নদীর ঢেউয়ের সঙ্গেও উঠে আসে মাছ। এসব মাছের বেশির ভাগই আর পানিতে ফিরতে পারে না। তবে কৈ মাছকে ঘাসের ওপর দিয়ে যেতে দেখা যায়। এতে হাঁটতে পারার ক্ষমতা প্রমাণ হয় না।
একজাতীয় মাছ হাঁটতে পারে, এ প্রমাণ পাওয়া গেছে কয়েক বছর আগেই। সর্বশেষ এক গবেষণায় জানা গেছে, প্রায় ১২ প্রজাতির মাছ হাঁটতে পারে। কেইভ অ্যাঞ্জেল ফিশসহ বেশ কয়েক প্রজাতির মাছ নিয়ে গবেষণা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্ট্রি, নিউ জার্সি ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, লুইজিয়ানা স্টেট ইউনিভার্সিটি ও থাইল্যান্ডের মায়েজো ইউনিভার্সিটির গবেষকরা।

তারা বলেন, শরীরের বিশেষ গঠনের কারণে মাছ মাটিতে হাঁটতে পারে। এদের পেলভিক বা নাভির নিচের অংশের গঠন ভিন্ন ধরনের। এই অংশে থাকা এদের পাখনার সঙ্গে মেরুদণ্ডের হাড়ের সংযোগ রয়েছে। এই সংযোগ শক্তিই মাছকে হাঁটতে সাহায্য করে।

কেইভ অ্যাঞ্জেল ফিশকে প্রথম হাঁটতে দেখা যায় ২০১৬ সালে থাইল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলের এক গুহায়। সেখানে থাকা শিলা বা পাহাড়ের গায়ে এই মাছকে হাঁটতে দেখে বিজ্ঞানীরা ধারণা করেছিলেন, এটিই কোনো মাছের জাত, যার এই বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু পাহাড়ি ঝরনার পানিতে সাঁতার কাটে, এমন ৩০টি প্রজাতির মাছ নিয়ে গবেষণায় আরও অন্তত ১১টি প্রজাতির সন্ধান পাওয়া যায়। যাদের একই ধরনের ক্ষমতা রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম ক্রিপ্টোটরা থামিকলা।
এই গবেষণায় সিটি স্কেন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এতে মাছের তিন ধরনের পেলভিক গঠনের প্রমাণ পাওয়া যায় এবং ঠিক কোন ধরনের পেলভিক গঠন এই মাছগুলোকে হাঁটতে সাহায্য করে থাকে তাও শনাক্ত হয়।
তবে ফ্লোরিডা মিউজিয়ামের ইমেজিং ল্যাবের ব্যবস্থাপক জীববিজ্ঞানী জাচারি র্যানডাল বলেন, সাধারণত মাছের মেরুদণ্ড ও পেলভিক পাখনার মধ্যে কোনো সম্পর্ক থাকে না।