
ক্রীড়া প্রতিবেদক: দক্ষিণ আফ্রিকার করোনা পরিস্থিতি হুট করে অবনতির দিকে। শেষ ১৪ দিনে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৭, ৮৬২ জন। পরিস্থিতি খুব একটা সুবিধার নয়। তারপরও জীবিকার প্রয়োজনে এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করা তো লাগেই। জীবন ঝুঁকি নেওয়া লাগে।
বাংলাদেশের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো ঝুঁকি নিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করছেন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ঢাকা পৌঁছাবেন ডমিঙ্গো। জোহানেসবার্গের বিমানে ওঠার আগে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিতে হচ্ছে তাকে। এজন্য শিগগিরই নমুনা দেবেন ডমিঙ্গো। ঢাকা নেমে তাকে থাকতে হবে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে। বিসিবি এরই মধ্যে পাঁচ তারকা হোটেল ঠিক করেছে।
জাতীয় দল ও বিদেশি কোচিং স্টাফরা সেখানে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন। ডমিঙ্গোর আশা সব কিছু ঠিকঠাক মতোই যাবে। রাইজিংবিডিকে হোয়াইটআপ বার্তায় ডমিঙ্গো বলেন, ‘২ সেপ্টেম্বর ঢাকায় থাকবো। আশা করছি পরবর্তী সব প্রক্রিয়া ভালোমতো এগিয়ে যাবে।’
করোনার কারণে বিদেশি অতিথিদের ঢাকা আগমণে যথাযথ প্রক্রিয়ার ভেতরে যেতে হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের বিশেষ অনুমতি নিতে হয়। বাংলাদেশের কোচরাও এসবের বাইরে নয়। অন অ্যারাইভাল ভিসা পাবেন ঠিকই তবে তাদের মন্ত্রনালয়ের অনুমতি নিতে হবে। বিসিবি এরই মধ্যে সকল কাগজ-কলমের কাজ শেষ করেছে। ফলে বিদেশি কোচদের ঢাকা আগমণে কোনো বাঁধা নেই।
সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে জাতীয় দলের সকল কোচদের ঢাকা পৌঁছার কথা রয়েছে। ডমিঙ্গোর পরপরই ঢাকা আসবেন ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক, বোলিং কোচ ওটিস গিবসন।
অক্টোবরেই বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা সফর। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তিনটি ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশ যাবে দ্বীপরাষ্ট্রে। ১৪ অক্টোবর প্রথম ম্যাচ হওয়ার কথা রয়েছে। জাতীয় দল এক মাস আগে ঢাকা ছাড়বে। সেখানে অনুশীলন ও প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবে। এর আগে ঢাকায় তিনদিনের ক্যাম্প হওয়ার কথা রয়েছে। তবে মূল প্রস্তুতি হবে শ্রীলঙ্কাতেই।