https://Dingdong77game.com https://www.olimpiocotillo.com/ https://www.rdcongoleopardsfoot.com/ https://takeoveranddestroy.com/ https://plaintextebooks.com/ https://moderate-ri.org/ https://addictedtoseries.com/ https://nasstimes.com/ https://ellenlanyon.com/ https://axres.com/ https://hbfasia.org/ https://pavlograd-official.org/ https://ape77slot.com/ https://ape77sport.com/ https://christopheranton.org/ https://eriksmith.org/ https://jaytotoslot.org/ https://mexicovolitivo.com/ https://www.dirtyjokepost.com/ https://bobasportgame.org/ https://139.180.186.42/dingdong77/ https://jaytoto.org/ https://superanunciosweb.com/ আজ বিশ্বব্যাপী সপ্তম ‘গোল্ডেন ফ্যাটি লিভার দিবস’ - atv sangbad আজ বিশ্বব্যাপী সপ্তম ‘গোল্ডেন ফ্যাটি লিভার দিবস’ - atv sangbad
মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০০ পূর্বাহ্ন

আজ বিশ্বব্যাপী সপ্তম ‘গোল্ডেন ফ্যাটি লিভার দিবস’

রিপোর্টার নাম / ২৪ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন, ২০২৪, ৯:৩৮ পূর্বাহ্ণ

নিউজ ডেস্ক, এটিভি সংবাদ :

বাংলাদেশে প্রতি তিন জনে এক জনের ফ্যাটি লিভার আছে। প্রায় ৪ কোটি ৫০ লাখ মানুষ ফ্যাটি লিভারে ভুগছে এবং এর মধ্যে প্রায় ১ কোটি মানুষ সিরোসিস বা লিভার ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকিতে আছে। অথচ প্রায় ক্ষেত্রে শুধু খাদ্যাভ্যাস, হাঁটার অভ্যাস ও জীবনযাত্রার ধরন পরিবর্তন এবং ওজন কমানোর মাধ্যমে ফ্যাটি লিভার ও ন্যাশ প্রতিরোধ করা যায় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা।

সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা কার্বোহাইড্রেট-সমৃদ্ধ খাবার, বিশেষত ভাত বেশি গ্রহণ করছেন এবং সেই তুলনায় শারীরিক পরিশ্রম বা হাঁটা-চলাফেরা কম করছেন, তাদের ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। এছাড়া বাইরের খাবার গ্রহণ, দিনে পাঁচ ঘণ্টার ওপরে যাদের বসে থাকতে হয় এবং একই সঙ্গে কায়িক পরিশ্রম কম হয়, তাদেরও ঝুঁকি বেশি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লিভার রোগজনিত মৃত্যু বিশ্বব্যাপী মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে পরিগণিত। লিভার সিরোসিস ও ক্যানসারের অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে লিভারে চর্বি জমাজনিত প্রদাহ। চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায় একে বলে স্টিয়াটো-হেপাটাইটিস। অতিরিক্ত চর্বি জমা হওয়ার কারণে যকৃতে যে প্রদাহ সৃষ্টি হয়, তাকেই স্টিয়াটো হেপাটাইটিস বলা হয়।

ফ্যাটি লিভারের বিপজ্জনক পরিণতি হচ্ছে ন্যাশ (এসএএসএইচ)। নির্ণয়হীন ও নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থায় ফ্যাটি লিভার বিপজ্জনকভাবে ন্যাশের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। লিভারে প্রদাহ সৃষ্টি করা ছাড়াও যকৃতে চর্বি জমার আরও বেশ কিছু খারাপ দিক রয়েছে। এই রোগ হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং শরীরে ইনসুলিন হরমোনের কার্যকারিতা কমে যাওয়ার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। সারা বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশেও এই রোগের প্রাদুর্ভাব আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে।

ফ্যাটি লিভার এবং এর প্রতিরোধ ও প্রতিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে বিশ্বব্যাপী সপ্তম বারের মতো আজ ১৩ জুন পালিত হচ্ছে ‘গোল্ডেন ফ্যাটি লিভার দিবস-২০২৪’। এ বছরের দিবসের প্রতিপাদ্য হয়েছে—ACT NOW, SCREEN TODAY. বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও দিবসটি উদযাপিত হবে।

দিবসটি উপলক্ষে গতকাল বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে হেপাটোলজি সোসাইটি, ঢাকা, বাংলাদেশ ‘কম খাই হাঁটি বেশি, ফ্যাটি লিভার দূরে রাখি’বিষয়ক গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে।

এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের লিভার বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ডা. মো. গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্বাস্থ্যবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল অধ্যাপক ডা. এ এস এম মতিউর রহমান (অব.) এবং প্রধান বক্তা ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের লিভার বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম। সম্মানিত বক্তা ছিলেন অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন, পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউিট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ফ্যাটি লিভার বিশ্বব্যাপী একটি উদ্বেগজনক জনস্বাস্থ্য সমস্যায় পরিণত হয়েছে। এমনকি দীর্ঘমেয়াদি লিভার প্রদাহের কারণ হিসেবে ভাইরাসকে অতিক্রম করে ফ্যাটি লিভার প্রাধান্য বিস্তার করছে।

হেপাটোলজি সোসাইটি, ঢাকা কর্তৃক বাংলাদেশে ফ্যাটি লিভার রোগ প্রতিরোধে কিছু সুপারিশ তুলে ধরেছে—প্রত্যেক ব্যক্তির সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন এবং প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট করে হাঁটতে হবে। দড়ি লাফ ও সাইকেল চালানো শরীরচর্চার জন্য ভালো। দুধ, ফল, শাক-সবজি খাওয়া বাড়ানো এবং চিনিযুক্ত খাবার, পানীয়, চকলেট, আইসক্রিম, ফাস্ট ফুড এবং (ভাজা খাবার) ট্রান্স-ফ্যাটের পরিমাণ কমানোর মাধ্যমে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে ক্যালোরি গ্রহণ কমাতে হবে। শরীরচর্চা বাড়ানো যায় এ রকম পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। দেশের প্রতিটি স্কুল ও প্রশাসনিক ওয়ার্ডে খেলার মাঠ রাখা বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং প্রতিটি শিশুকে খেলতে ও অন্যান্য শারীরিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের জন্য অনুপ্রাণিত করতে হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ