সৈকত মনি, এটিভি সংবাদ
আজ ১২ রবিউল আউয়াল, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী। ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে আরবের মরুর বুকে জন্মগ্রহণ করেন ইসলাম ধর্মের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)।
১৪ শত বছর আগের এ দিনে পৃথিবীতে এসেছিলেন মানবতার মুক্তির দূত, সর্বকালের সর্ব শ্রেষ্ঠ মহামানব হজরত মুহাম্মদ (সা.)। অন্যায়, অবিচার, দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে তার আগমন পৃথিবীকে দেয় মুক্তি ও শান্তির সার্বজনীন বার্তা। ৬৩ বছর বয়সে এই দিনেই মৃত্যুবরণ করেন তিনি। তাই সারাবিশ্বের মুসলিম উম্মাহর কাছে দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
দীর্ঘ ২৩ বছরের সংগ্রামের পর মানবজাতির জন্য রেখে গেলেন মহাগ্রন্থ আল কোরআন। যার মধ্যে রয়েছে মানুষের ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তির পথ নির্দেশিকা। মাত্র ৬৩ বছরে পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেও এখনো তার আদর্শে অনুপ্রাণিত পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তর।
বিশ্ব মুসলমানদের সবচেয়ে বড় তীর্থস্থান মসজিদুল হারাম থেকে সামান্য দূরেই রাসুল (সা.)-এর পিতা আবদুল্লাহর ঘর অবস্থিত। ‘শিআবে আলী’র প্রবেশ মুখ হিসেবে পরিচিত জায়গাটি। তৎকালীন সময়ে বনি হাশেম গোত্রের লোকেরা যে জায়গায় বসবাস করতেন সেটিকেই ‘শিআবে আলী’ বলা হতো।
ইতিহাসবিদদের মতে, বাবা আবদুল্লাহর যে ঘরে মহানবী (সা.) জন্মগ্রহণ করেছিলেন সেটি এই জায়গাতেই ছিলো। মক্কায় অবস্থানকালীন সময়ে রাসুল (সা.) এ ঘরেই বসবাস করতেন। যদিও এ সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য কোনো ঐতিহাসিক তথ্য বা প্রমাণ নেই। তবুও মক্কা নগরীতে এটি রাসুল (সা.)-এর জন্মস্থান হিসেবে পরিচিত।
ওসমানি শাসনামলে এ বাড়িটি মসজিদ হিসেবে ব্যবহৃত হত। পরে এখানে একটি লাইব্রেরি স্থাপন করা হয়। সৌদির বিখ্যাত শায়খ আব্বাস কাত্তান ১৩৭১ হিজরিতে ব্যক্তিগত সম্পদ ব্যয় করে এটি নির্মাণ করেন।
মসজিদুল হারামের নতুন সম্প্রসারণ-কার্যক্রমে এই লাইব্রেরিটি অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়েছে। সম্প্রসারণের নতুন নকশা ও মডেল থেকে যতটুকু জানা যায়, এ স্থানে কোনো স্থাপনা তৈরি না করে খালি ও উন্মুক্ত স্থান হিসেবে রাখা হবে।