ক্রীড়া ডেস্ক, এটিভি সংবাদ :
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের পথে বাংলাদেশের ইনিংসের ১২তম ওভারে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে টানা তিন বলে তিন ছক্কা মারেন তাওহিদ হৃদয়। যেগুলো বাংলাদেশের জয়ের পথে রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। যদিও ছক্কার হ্যাটট্রিক করে পরের বলেই এলবির ফাঁদে পড়েন তিনি। সেই ছক্কার হ্যাটট্রিক গড়ার পথে হৃদয়ের মারা বলে গ্যালারিতে রক্ত ঝরেছে এক টাইগার সমর্থকের। আর এ নিয়েই ম্যাচ পরবর্তীতে এক আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন টাইগার ক্রিকেটার।
হাসারাঙ্গার ১২তম ওভারের দ্বিতীয় বলটি হৃদয় স্লগ সুইপে ডিপ স্কয়ারের ওপর দিয়ে ৮৮ মিটারের বিশাল ছক্কা হাঁকান। বলটি গ্যালারিতে থাকা এক বাংলাদেশি সমর্থক হাতে জমা করার চেষ্টা করেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সেই সমর্থক বল তালুবন্দী করতে ব্যর্থ হলে তা পায়ের মধ্যভাগে এসে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে জখম হয়ে রক্ত জমাট বাঁধে সেখানে। ম্যাচ চলাকালে বিষয়টি জানার কথা ছিল না হৃদয়ের। কিন্তু ম্যাচ শেষ হতেই সেই ভক্ত সাংবাদিকদের সামনে বলতেই জানা যায় ঘটনাটি।
জানা যায়, টাইগারদের জয়ের পর ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমকে সে সমর্থক হেসে বলেন, আমি অনেক খুশি বাংলাদেশ জেতায়। বাংলাদেশের ক্যাচ ধরতে পারিনি, ব্যথা পেয়েছি কোনো ব্যাপার না এটি। মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় সেই ভিডিও।
শনিবার (৮ জুন) ম্যাচের পর হোটেলে ফিরে হৃদয় জানতে পারেন তার হাঁকানো একটি ছক্কা গিয়ে লেগেছে এক বাংলাদেশি সমর্থকের পায়ে। তাতে বেশ ভালোই আঘাত পেয়েছেন সেই সমর্থক। হাঁটুর নিচে রক্তের দাগও দেখা গেছে। ম্যাচ শেষে নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে সেই সমর্থকের উদ্দেশে একটি পোস্ট লিখেন এই বাংলাদেশি ব্যাটার।
হৃদয় লিখেন, ছবিগুলো একজন পাঠাল, আমার এখানে এখন মধ্যরাত। কয়েকটি ছবি মাথা থেকেই বের হচ্ছে না। আমার জন্য কারও রক্ত ঝরল এটা ভেবেই খারাপ লাগছে। তারপর অচেনা সমর্থককে উদ্দেশ্য করে হৃদয় আরও লিখেন, প্রিয় ভাই আমার, আমি জানি না আপনি কে? শুধু জানি আপনার পরিহিত টি-শার্টের বুকে বাংলাদেশের মানচিত্র। আপনি এবং আমি একই। আমার মারা ছয় অজান্তেই গিয়ে আপনার পায়ে লেগেছে। আপনি হয়তো হাসিমুখেই বলছেন আপনি খুশি, কিন্তু একটি সজোরে আসা বলের আঘাত কতটা ভোগায় তা আমাদের থেকে ভালো আর কেইবা জানে।
বাংলাদেশকে সমর্থন দিতে ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি ভিউতে যাওয়া সেই সমর্থককে বুকে নিতে চান হৃদয়। লিখেছেন, কখনো দেখা হলে আমাকে বুকে জড়িয়ে নিয়েন, মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়েন। আপনার কষ্টে আপনার এই ছোট ভাইও ব্যথিত।