আন্তর্জাতিক ডেস্ক, এটিভি সংবাদ
বিশ্বের সর্ববৃহৎ বনাঞ্চল আমাজন রক্ষায় একটি জোট চালু করতে সম্মত হয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার আটটি দেশ। মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) ব্রাজিলের বেলেম শহরে আয়োজিত এক শীর্ষ সম্মেলনে বলিভিয়া, ব্রাজিল, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, গায়ানা, পেরু, সুরিনাম ও ভেনিজুয়েলা আমাজন রক্ষার ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেছে।
বুধবার (৯ আগস্ট) আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এককভাবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই রেইন ফরেস্টকে (ঘনবর্ষণ বনভূমি) ধ্বংসের এমন পর্যায়ে যাওয়া ঠেকাতে দেশগুলোর নেতারা প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন, যে পর্যায় থেকে ‘ফেরার কোনো পথ থাকে না’।
আমাজন রক্ষায় বিশ্বনেতারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হলেও একমত হতে পারেননি। বরং নিজ নিজ লক্ষ্য ও পদক্ষেপ অনুসরণ করে বন উজাড় ঠেকাতে চায় এই দেশগুলো।
পৃথিবীর জীব বৈচিত্র্যের আনুমানিক ১০ শতাংশ রয়েছে আমাজন বনে। ৮০০ কোটির বেশি মানুষ ও অসংখ্যা গাছ-পালার আবাসস্থল বিশাল এই বন একটি অপরিহার্য কার্বন সিল্ক। যা বৈশ্বিক উষ্ণতা কমায়। তবে প্রতিনিয়তই উজাড় হচ্ছে আমাজন।
সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২০-২১ সালে আমাজনের প্রায় ১৩ হাজার ২৩৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকার বন উজাড় হয়, যা ২০০৬ সালের পর সর্বোচ্চ। ব্রাজিলের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্পেস রিসার্চের তথ্যমতে, ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩-এ বন উজাড়ের মাত্রা বেড়েছে বহুগুণ।
এদিকে, ২০৩০ সালে মধ্যে বন উজাড় বন্ধ করতে একটি সাধারণ নীতিতে এই অঞ্চলকে একত্রিত করতে জোর দেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা। সম্মেলনে জলবায়ু সংকটের মারাত্মক অবনতির ওপরও জোর দেন তিনি। পাশাপাশি বৈশ্বিক এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করা সময়ের দাবি বলে জানান প্রেসিডেন্ট সিলভা।
পরিবেশ বিজ্ঞানিদের আশঙ্কা, এখনই বন উজার ঠেকানো না গেলে ২০৫০ সালের মধ্যে বিলীন হয়ে যাবে পৃথিবীর এই ফুসফুস। হুমকির মুখে পড়বে পুরো বিশ্ব।
এটিভি /এস