সাভার থেকে আশিকুর রহমান, এটিভি সংবাদ
ঢাকার উপকণ্ঠ সাভারের আশুলিয়ায় স্বামীকে বটি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে স্ত্রী পালিয়েছে। নিহতের মরদেহ আশুলিয়া থানায় আনা হয়েছে।
সোমবার (১ আগস্ট) বিকেল ৬টার দিকে আশুলিয়ার জিরাবো মা হোটেলের পিছনে দেলোয়ারের বাড়ি থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত নূর বিশ্বাস মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানাধীন হোগলডাঙ্গা গ্রামের বাহাদুর বিশ্বাসের ছেলে। তিনি জিরাবো এলাকায় অটোরিকশা চালিয়ে জীবন যাপন করতেন। এ ঘটনায় নিহতের ২য় স্ত্রীর নাম পরিচয় পাওয়া যায় নি।
নিহতের ভগ্নিপতি মো. জাকির হোসেন জানান, ১৪ জুলাই পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় নূর বিশ্বাসের। বিয়ের তিন দিন পর তার স্ত্রীকে গ্রামে রেখে ঢাকায় আসে নূর। রবিবার নূরের মোবাইল ফোন থেকে এক নারী তাকে কল দিয়ে বলেন নূর বিশ্বাসকে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়েছে। আপনারা এসে নিয়ে যান। খবর পেয়ে গ্রাম থেকে জিরাবোর উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে রোববার বিকেলে পৌঁছে আশুলিয়ার জিরাবো এলাকায় দেলোয়ার হোসেনের বাড়িতে একটি পকেট রুমের মধ্যে নূর বিশ্বাসের মরদেহ দেখতে পাই। পরে আশুলিয়া থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে।
বাড়ির মালিক দেলোয়ার হোসেন বেপারী বলেন, গত বৃহস্পতিবার নিহত নূর হোসেন ও তার কথিত স্ত্রী, স্বামি-স্ত্রী পরিচয়ে বাসা ভাড়া নেয়। শুক্রবার ঘর ধোয়ামোছা করে বাড়িতে ওঠে তারা। শনিবারও সে রিকশা চালিয়ে বাসায় ফিরেছে।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইউনুস আলী বলেন, স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে ওই এলাকার হাজ্বী দেলোয়ার হোসেন বেপারীর ভাড়াবাড়ির একটি কক্ষ থেকে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাকে বটি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারাণা করা হচ্ছে নিহতের কথিত স্ত্রী-ই তাকে হত্যা করে পালিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা বটি জব্দ করা হয়েছে। নিহতের কথিত স্ত্রীর পরিচয় শনাক্ত করে আইনের আওতায় নেওয়ার চেষ্টা চলছে।