atv sangbad

Blog Post

আ.লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ৫

জয়পুরহাট, এটিভি সংবাদ 

জয়পুরহাট-২ আসনে ক্ষেতলাল উপজেলার ইটাখোলা বাজারে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক ও নৌকা প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী অবসরকে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালের ইটাখোলা বাজারে নির্বাচনী প্রচারনার সময় নৌকা মার্কার প্রার্থী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনের সমর্থক ও কাঁচি মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসর ও তার কর্মী সমর্থকদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে হাতাহাতি ও পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসর সহ উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হয়েছেন। আহত স্বতন্ত্র প্রার্থী অবসর সহ ২ জন জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অপরদিকে নৌকা মার্কার সমর্থক ২ জনকে ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার ( ২৬ ডিসেম্বর ) সন্ধ্যা সারে ৫ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

পরে রাতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাচি মার্কার কর্মী সমর্থকরা ধীরে ধীরে হাসপাতাল চত্তরে সমবেত হয় ও কর্মী সমর্থকদের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহরের প্রধান সড়ক সিও কলোনি দিয়ে ঘুরে ডিসি অফিস ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের প্রধান ফটোকে অবস্থান কর্মসূচি করেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা।

পরে রাত ১০ টার দিকে রিটারিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী উপস্থিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। তখন স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করে চলে যান।

জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসর বলেন, ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান তাইফুল তালুকদারকে সঙ্গে নিয়ে আমি ইটাখোলা বাজারে ভোটের প্রচারণা করছিলাম এসময় নৌকা মার্কার কর্মী সমর্থকরা তাইফুল চেয়ারম্যান ও আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এ সময় আমার মজিব কোট খুলে নেই ও পাঞ্জাবি ছিড়ে ফেলে এবং আমাকে সহ আমার কর্মী সমর্থকদের এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করে। এরপর পুলিশ প্রশাসন গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে । আমাদের উপর হামলাকারীদের শাস্তি চাই। আর সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ চাই।

এদিকে নৌকা মার্কার সমর্থক কালাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন বলেন, নৌকার দুজন কর্মী আহত হয় ও হাসপাতালে আছে। তারাই নৌকার কর্মীর উপরে আক্রমণ করে। সতন্ত্র প্রার্থী অবসর যেসব অভিযোগ করছেন তা মিথ্যা, সত্য নয়।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী বলেন, তাদের থানায় মামলা করার কথা বলে দেয়া হয়েছে। মামলার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ব্রেকিং নিউজ :