আন্তর্জাতিক ডেস্ক, এটিভি সংবাদ
কারাবন্দি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবার পদ হারাতে পারেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই)। দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, আদালতে দণ্ড পাওয়া কেউ রাজনৈতিক দলের প্রধান থাকতে পারেন না। এমনটা মত সে দেশের আইন বিশেষজ্ঞদেরও। এ অবস্থায় পাকিস্তানের রাজনৈতিক সংকট আরও প্রকট হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।
তোশাখানা মামলায় দণ্ড পেয়ে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এখন কারাগারে। এতে ফের অশান্তির আঁচে উত্তপ্ত হয়ে ওঠেছে দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতি। রায়কে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ফরমায়েশি উল্লেখ করে আদালত এবং মামলার রায়দানকারী বিচারকের আচরণ পুরোপুরি প্রশ্নবিদ্ধ বলে অভিযোগ করেছে পিটিআই।
শনিবার পিটিআই প্রধান ইমরান খানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এতে নানা প্রশ্নের মুখে পিটিআই চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ। তিনি নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন কি না, কিংবা এ ঘটনা এটি দলের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের ওপর কতটা প্রভাব পড়বে, তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, এ রায়ের ফলে ইমরান খান কার্যত কোনো ধরনের নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে ৫ বছরের জন্য অযোগ্য হলেন।
অবশ্য পাকিস্তানের গণমাধ্যমগুলো এ নিয়ে কিছু না বললেও দেশটির আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আসন্ন নির্বাচনে ইমরান খানের অংশগ্রহণ করার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। শুধু তাই নয়, দণ্ডপ্রাপ্ত নেতাকে দলীয় প্রধান হিসেবে অযোগ্য ঘোষণা করার যে নীতি, সে অনুযায়ী দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর পিটিআই চেয়ারম্যানের পদ থেকে অব্যাহতি মিলতে পারে ইমরানের। সেক্ষেত্রে ভাইস চেয়ারম্যান এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির নেতৃত্বে দল পরিচালিত হবে বলে জানিয়েছে পাকিস্তান পিটিআই।
এছাড়াও পিটিআই-এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইমরান খানের মুক্তি এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনাসহ তার নির্দেশনা অনুযায়ীই রাজনৈতিক পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছেন নেতাকর্মীরা।
চলতি আগস্ট মাসে শাহবাজ শরিফ সরকারের মেয়াদ শেষ হবে। পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করার পর সর্বোচ্চ তিন মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন হওয়ার কথা। এর আগেই এমন তড়িঘড়ি রায়ে ইমরান খান কারাবন্দি হওয়ায় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ইমরানকে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন থেকে দূরে রাখাসহ তার দলকে বিভক্তিকরণের চেষ্টার মধ্যদিয়ে নতুন চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি অচলাবস্থার কেন্দ্রে রাখা হলো ইমরান খানকে। এর প্রভাব গোটা দেশের রাজনীতিতেই পড়তে পারে বলে মনে করছেন তারা।