সৈকত মনি, এটিভি সংবাদ
পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগেই পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলতে পারে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সেতু কর্তৃপক্ষের এক প্রকৌশলী এটিভি সংবাদকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বছরের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন। এর পরদিন সেতুটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। পরে সেতুতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই তরুণ নিহত হয়। এরপর সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
এতে মোটরসাইকেল চালকেরা বিকল্প হিসেবে ট্রাক বা পিকআপে মোটরসাইকেল পারাপার করছেন। সেতুতে মোটরসাইকেলের নির্ধারিত টোল ১০০ টাকা হলেও ট্রাক বা পিকআপে একটি মোটরসাইকেল পার করতে খরচ হচ্ছে ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা। এতে আর্থিক ক্ষতিসহ দুর্ভোরে শিকার হচ্ছেন মোটরসাইকেল চালকরা।
অন্যদিকে মোটরসাইকেল পারাপার বন্ধ থাকায় বড় অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। তবে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকলেও সেতু দিয়ে অন্যান্য যানবাহন চলাচল করছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সেতু কর্তৃপক্ষের এক প্রকৌশলী জানান, পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে তারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ সংক্রান্ত নথিপত্র প্রস্তুত করে সরকারের উচ্চপর্যায়ে পাঠানো হচ্ছে। অনুমতি পেলে ঈদুল ফিতরের আগেই পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলতে পারে। আলাদা দু’টি লেন দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল করবে বলেও জানান ওই প্রকৌশলী।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গত ৬ মার্চ সচিবালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, আপাতত পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলতে দেওয়া নিয়ে কোনো ভাবনা নেই।
সেতু কর্তৃপক্ষের ওই প্রকৌশলী আরও জানান, গত সপ্তাহে সেতুর নিরাপত্তা নিয়ে জাজিরার শেখ রাসেল সেনানিবাসে একটি সভা হয়েছে। ওই সভায় সেতু কর্তৃপক্ষ, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের বিষয়ে আলোচনা হয়, তবে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সবদিক ভেবে সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের ব্যাপারে লিখিতভাবে সরকারের উচ্চপর্যায়ে তুলে ধরার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষের টোল প্লাজা ও সংযোগ সড়কের (সংরক্ষণ ও সার্ভিস) নির্বাহী প্রকৌশলী লক্ষ্মীকান্ত বিশ্বাস জানান, সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দেওয়ার সম্ভাবনা আছে। সিদ্ধান্তটি সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে আসবে। তারা এ–সংক্রান্ত নথিপত্র প্রস্তুত করেছেন। অনুমতির জন্য আরও কয়েক দিন অপেক্ষা করতে হবে।