সৈকত মনি, এটিভি সংবাদ
কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে দামে কোন প্রকার ছাড় দেওয়ার সময় নেই। শেষ সময়ের বাজার করা নিয়ে ব্যস্ত ক্রেতা-বিক্রেতারা।
চিনির কেজি ১৪০ টাকা, দেশি পেয়াজ ৭০ থেকে ৮০ টাকা আর আমদানি করা ৪০ টাকা। আর কাঁচামরিচ ৪০০ টাকা কেজি।
বুধবার (২৮ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরা, ফার্মগেট, মোহাম্মদপুর ও মিরপুরের বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
নিয়ম বহির্ভুত দাম বাড়ালেও নিরবে সহ্য করেছেন ক্রেতারা। ভোক্তা ও ভোক্তা সমিতি থেকেও আপত্তি তোলা হয়, কিন্তু ধোপে টেকেনি। বাজারে কার্যকর হয় বাড়তি দাম।
ঈদের আগে চিনির বাজারে কেউ আর কথা তোলেননি। আর এ নিয়ে কথা তুলেও কোনো লাভ নেই। এমনটাই জানালেন মিরপুরের মোস্তাক আহমেদ। তিনি চিনি কিনছিলেন। এ সময় বলেন, হঠাৎ করে চিনির দাম বেড়ে গেলো। আর কোনো কিছুর দাম বাড়ানোর ঘোষণা মানেইতো সেটা কার্যকর। তাই মেনেই নিয়েছি।
বাজারে এখনও দেশি পেয়াজই বেশি বিক্রি হচ্ছে। দাম বাজার ভেদে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। আমদানি করা পেয়াজের কেজি ৪০ টাকা। ক্রেতারা বলছেন, আমদানি করা পেয়াজ দেখতে ভালো না, স্বাদেও দেশি পেয়াজের মতো না। এ কারণে দাম কম হলেও আমদানি করা পেয়াজ নিচ্ছি না। বাড়তি দামের দেশি পেয়াজ কিনছি।
গত কয়েকদিন ধরে কাঁচামরিচের কেজি ৪০০ টাকা। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকেও খবর আসছে, সাড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কাচামরিচ। এর আগে কখনও এতো দাম ওঠেনি।
বুধবার (২৮ জুন) বিকেলে ভাষানটেকের বাজারে বাজার করতে আসা আমজাদ আলী সবজি দোকানদারের কাছে দাম জানতে চান, ‘মরিচতো আমদানি হয়েছে। দাম কমার কথা, কমেছে? ’উত্তরে দোকানদার বলেন, ঈদের আগে আর কম দামের আশা কইরেন না স্যার। দাম এখনও ৪০০ ট্যাকা। আর কথা বলেননি আমজাদ আলী। কাল ঈদ, কিনতেই হবে, না কিনে উপায় নেই, বিড় বিড় করে কথা বলতে বলতে একশ গ্রাম কাঁচা মরিচ কেনেন তিনি।
বাজারে আমদানি করা রসুন ১৮০ থেকে বাজার ও ধরণ ভেদে ১৯০ টাকা। দেশি রসুন ১২০ থেকে ধরণ ভেদে ১৪০ টাকা। আদা ৩৩০ থেকে ৩৮০ টাকা।
আগের বৃদ্ধি পাওয়া দামেই বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস, প্রতি কেজি ৮০০ টাকা। দু’য়েকটি বাজারে ৮২০ টাকা কেজিও চলছে। মাংসের দাম বৃদ্ধির যুক্তি দেখানো হয়, কোরবানীর বাজারে গরুর মাংসের দাম বেড়েছে।
খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১০০ টাকা কেজি। মুরগির দাম গতকালের চেয়ে একটু বেড়েছে। ব্রয়লার মুরগি ১৮০ থকে বাজার ভেদে ২০০ টাকা, সোনালী ৩০০ টাকা ও দেশি মুরগির কেজি ৬০০ টাকা।
মাছের বাজারে ক্রেতা দেখা যায়নি। মাছও কম। এক কেজি ওজেনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৮০০ টাকা। ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রামের ইলিশের কেজি ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা।
এছাড়া ২০০ গ্রামের লাচ্ছা সেমাই ৫০ টাকা। একই ওজনের লম্বা সেমাইয়ের দাম ৪০ টাকা।