অনুসন্ধানী প্রতিবেদক, এটিভি সংবাদ
সারাদেশে অবৈধ মজুতদারদের ধরতে অভিযান চলাকালে একদিনের মধ্যে প্রতি কেজি চালে ৩ থেকে ৬ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসেবেই এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। তবে বাস্তবে দাম বেড়েছে আরো অনেক বেশি।
টিসিবি জানিয়েছে, গতকাল রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি নাজিরশাইল/মিনিকেট ৬০ থেকে ৭২ টাকা, মাঝারিমানের চাল পাইজাম/লতা ৫২ থেকে ৫৬ টাকা ও মোটা চাল ইরি/স্বর্ণা ৪৮ থেকে ৫২ টাকা দরে বিক্রি হয়। কিন্তু এক দিন আগে তা যথাক্রমে ৫৮ থেকে ৬৮ টাকা, ৪৬ থেকে ৫৬ টাকা ও ৪৫ থেকে ৪৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
তবে সরেজমিনে রাজধানীর খুচরাবাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, সরু চাল নাজিরশাইলের কেজি ৮০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। এছাড়া ৫০ টাকা কেজির নিচে কোন চাল নেই। চালের সবচেয়ে বড় মৌসুম বোরো ওঠার এ সময়ে এভাবে দফায় দফায় দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন স্বল্প আয়ের মানুষেরা। তাদের জিজ্ঞাসা, বোরোর ভরা মৌসুমে কেন চালের দাম বাড়বে?
রাজধানীর বাবুবাজার বাদামতলী ও বাবুবাজার চাল আড়ত মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী নিজামউদ্দিন এটিভি সংবাদকে বলেন, সাধারণ মিল মালিকদের পাশাপাশি এখন বড় বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো রীতিমতো প্রতিযোগিতা করে ধান-চাল কিনছে।
উল্লেখিত বিষয়গুলোর উপর সরকারের কড়া নজরদারি প্রয়োজন। তা না হলে চাল সিন্ডিকেট চক্রের দৌরাত্ম্য বেড়ে যাবে, সফল সরকার হবে প্রশ্নবিদ্ধ এমন মন্তব্য করেন এটিভি সংবাদের সম্পাদক এস এম জামান।