আন্তর্জাতিক ডেস্ক, এটিভি সংবাদ
পুরো শরীর ঢাকা ঢিলেঢালা পোশাকের নাম আবায়া। ফ্রান্সের স্কুলে ও মুসলিম মেয়েরা পরেন। সেই আবায়া নিষিদ্ধ করছে শিক্ষা বিভাগ। দেশটির শিক্ষাবিভাগের মতে, স্কুলে এমন কোনো পোশাক পরা ঠিক নয় যা দেখে ধর্মীয় পরিচয় জানা যায়।
রোববার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় ফ্রান্সের শিক্ষামন্ত্রী একটি সাক্ষাৎকারে আবায়া নিষিদ্ধ করার কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, যখন কেউ ক্লাসে ঢুকছে, তখন পোশাক দেখে তাদের ধর্ম জেনে যাওয়ার কোনো দরকার নেই।
প্রসঙ্গত, গত ২০০৪ সালে ফ্রান্সের স্কুলের পোশাকে ধর্মীয় প্রতীক বা চিহ্ন ব্যবহার করা নিষিদ্ধ করা হয়। তবে সেসময় আবায়া নিয়ে কিছু বলা হয়নি। আর ২০১০ সালে জনসমক্ষে পুরো মুখের পর্দার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়ে ছিল। গত নভেম্বরে শিক্ষামন্ত্রণালয় একটি সার্কুলার জারি করে। সেখানে বলা হয়েছিল, আবায়াসহ কিছু ধর্মীয় পোশাক যদি এমনভাবে পরা হয়, যাতে শিক্ষার্থীদের কোন ধর্মের তা চিহ্নিত করা যায়, তবে তা নিষিদ্ধ করা হতে পারে। ২০২০ সালে চেচেনরা ফ্রান্সে এক শিক্ষককে গলা কেটে হত্যা করার পর ফের আবায়া নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।
শিক্ষক ইউনিয়নের নেতা ব্রুনো বিষয়টি স্বাগত জানিয়ে বলেন, আগে বিষয়টি স্পষ্ট ছিল না। এখন একেবারে স্পষ্ট। আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। দক্ষিণপন্থি বিরোধী দল রিপাবলিকান পার্টির নেতা এরিক সিয়োতো জানিয়েছেন, তারা আগে বহুবার স্কুলে আবায়া নিষিদ্ধ করার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। তবে ফ্রান্সের বামপন্থি দলের নেত্রী এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বলেছেন, সরকার পোশাকের বিষয়ে পুলিশের ভূমিকা নিতে পারে না।
উল্লেখ্য, বর্তমানে ফ্রান্সে প্রায় ৫০ লাখ মুসলিম রয়েছেন এবং এই ধরনের সিদ্ধান্ত এর আগে পশ্চিম ইউরোপের এই দেশটির শক্তিশালী এই সম্প্রদায়ের বহু মানুষকে ক্ষুব্ধ করেছিল।