নিউজ ডেস্ক, এটিভি সংবাদ
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাই ও ভাগ্নে দলীয় নির্দেশের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তার ছোট ভাই শাহদাত হোসেন প্রার্থী হয়েছেন চেয়ারম্যান পদে। আর ভাগনে (আপন বোনের ছেলে) মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু প্রার্থী হয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান পদে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নির্বাচনী কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের তালিকায় শাহদাত হোসেনের নাম রয়েছে। সহ-সভাপতি প্রার্থীদের তালিকায় তিন নম্বরে রয়েছে মাহবুব রশিদের নাম। মন্ত্রীর ছোট ভাই ছাড়াও এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আরও তিন প্রার্থীর নাম রয়েছে। তিনি হলেন মোহাম্মদ গোলাম শরীফ চৌধুরী, সাবেক যুবলীগ সংগঠক ও উপজেলা ব্যবসায়ী। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক জনাব মিজানুর রহমান বাদল এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ওমর আলী।
মাহবুব রশীদ ছাড়াও সহ-সভাপতি পদে মনোনয়ন পেয়েছেন আরও দুই প্রার্থী।তাঁরা হলেন মামুন হোসেন ও মো. জসিম উদ্দিন। দুটিই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলের নীতির সঙ্গে জড়িত।সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভাই ও ভাগনে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে দলের নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে
শাহদাত হোসেন দলীয় নির্দেশের বিপরীতে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ওবায়দুল কাদেরের আরেক ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা এটিভি সংবাদকে বলেন, ‘হেতে লেখাপড়া জানে? হেতে মাদ্রাসায় কী পড়েছে, হেতেরলাই ভোট করবে কে? মন্ত্রী মহোদয় বলে দিয়েছে প্রত্যাহার করার জন্য।
এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদেরের ভাগনে মাহবুবুর রশীদ এটিভি সংবাদকে বলেন, দল থেকে বলা হয়েছে, এমপি ও মন্ত্রীদের নিকটাত্মীয়, বিশেষ করে ভাই, বোন কিংবা ভগ্নিপতি কেউ প্রার্থী হতে পারবেন না। কিন্তু ভাগনের কথা সুনির্দিষ্ট করে বলা হয়নি। তাঁর দাবি, ভাগনে নিকটাত্মীয়ের মধ্যে পড়েন না। তাই তিনি প্রার্থী হয়েছেন।