ক্রীড়া ডেস্ক, এটিভি সংবাদ
ভারতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই শুভসূচনা করেছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত ও মেহেদি হাসান মিরাজের জোড়া ফিফটিতে আফগানিস্তানকে ৬ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছে সাকিব আল হাসানের দল।
শনিবার (৭ অক্টোবর) হিমাচল প্রদেশের নান্দনিক ধর্মশালায় টাইগার বোলারদের তোপে ১৫৬ রানে গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান। মিরাজের ৫৭ ও শান্তর অপরাজিত ৫৯ রানের ইনিংসে জয়ের বন্দরে পৌঁছে বাংলাদেশ।
আফগানদের ১৫৭ রানের জবাবে শুরুতেই ব্যাটিংয়ে বেশ তাড়াহুড়ো দেখায় টাইগাররা। পঞ্চম ওভারে বিদায় নেন ওপেনার ওপেনার তানজিদ (৫)। নাজিবুল্লাহ জাদরানের সরাসরি থ্রোতে রান আউটে কাটা পড়েন টাইগার ওপেনার। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আরেক ওপেনার লিটন দাসও। ১৮ বলে ১৩ রানে থেমেছেন ডানহাতি এই ওপেনার। ২৭ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ দল। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৯৭ রান সংগ্রহ করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেন শান্ত ও মিরাজ। ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটিতে ৫৭ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরেন টাইগার অলরাউন্ডার। মিরাজকে সমর্থন দেওয়া শান্তও ফিফটি তুলে নেন ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ফিফটি। অধিনায়ক সাকিব ১৪ রানে ফিরলেও মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে বাকি কাজটুকু সারেন শান্ত। ৫৯ রানে শান্ত ও ২ রানে মুশফিকুর রহিম অপরাজিত থাকেন। ফারুকি, নাভিন ও আজমাতুল্লাহ একটি করে উইকেট শিকার করেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দুরন্ত সূচনা পায় আফগানিস্তান। রাহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরানের ব্যাটে ৪৭ রানের জুটি পায় আফগানরা। আক্রমণে আসার দ্বিতীয় ওভারে ইব্রাহিমকে ২২ রানে ফেরান সাকিব আল হাসান। রহমত শাহকে নিয়ে ৩৬ রানের জুটি গড়েন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। সেই জুটিও ভাঙেন টাইগার অধিনায়ক। ২৫ বলে ১৮ রান করেন রহমত। সাকিবের জোড়া শিকারের পর ১৪ রানের মধ্যে আফগানদের চার উইকেট তুলে নিয়ে দাপট দেখায় টাইগার বোলাররা।
ইনিংসের ২৬তম ওভারে মুস্তাফিজের বলে তামিমের হাতে ধরা পড়েন গুরবাজ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করে আফগান ব্যাটার। নতুন আসা নাজিবুল্লাহকে ৫ রানে ফেরান সাকিব। তাসকিন এসে নবীকে সরাসরি বোল্ড করেন। রশীদ ও আজমতউল্লাহ আফগানদের ম্যাচে ফেরানোর চেষ্টা করেও কাজের কাজ করতে পারেননি। মিরাজের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান রশীদ। ২২ রান করা আজমতউল্লাহকে ফেরান শরিফুল ইসলাম। ফলে ১৫৬ রানের মধ্যে গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান।
আফগানরদের শেষ ৪৬ রানের মধ্যে আট উইকেট তুলে নেয় টাইগারর বোলাররা। সাকিব ও মিরাজ তিনটি করে উইকেট এবং শরীফুল শিকার করেন ২টি। এছাড়া তাসকিন ও মুস্তাফিজ নেন একটি করে উইকেট।