নিউজ ডেস্ক, এটিভি সংবাদ
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে ঘিরে আবারো আলোচনায় কোম্পানীগঞ্জ। একদিকে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল, অপরদিকে আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ গোলাম শরীফ চৌধুরীকে সমর্থন দিয়ে বিভিন্ন স্থানে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।
মোবাইলে মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারী কর্তৃক হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে অভিযোগ এনে মঙ্গলবার বিকালে কোম্পানীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়রি করেছেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।
একই অভিযোগে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী নিজের ভাই শাহাদাত হোসেনকেও অভিযুক্ত করেছেন তিনি।
এর আগে ভোটারদের হুমকি-ধমকির অভিযোগ এনে আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছিলেন মিজানুর রহমান বাদল।
সাধারণ ডায়েরিতে মেয়র কাদের মির্জা উল্লেখ করেন, আগামী ২৯ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারীরা গত কয়েক দিন ধরে তার ব্যবহৃত মোবাইলে কল করে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছেন। এছাড়াও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পার্শ্ববর্তী দাগনভূঞা সুবর্ণচর, কবিরহাট ও সেনবাগ উপজেলার অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের ভাড়া করে এনে কোম্পানীগঞ্জের শান্তির পরিবেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান বাদল।
এছাড়াও আরেক স্বতন্ত্র উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাদাত হোসেন মোবাইলে তার কর্মী বসুরহাট পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. রাসেল, বসুরহাট পৌরসভা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হামিদ উল্যা হামিদ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আইনুল মারুফকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে হত্যার হুমকি প্রদান করেছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করেন মির্জা।
এ বিষয়ে সরকারের উচ্চস্তরের কর্মকর্তাদের অবগত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি প্রণব চৌধুরী বলেন, অভিযোগটি আমরা পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Copyright © 2023 Atv Sangbad (A Concern of Aparadh Anusondhan Ltd) All rights reserved