সোমবার (৪ জুন) বিকেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মুকুল ও চেয়ারম্যান প্রার্থী সেলিম রেজাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে যশোর জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম।
আসামিরা হলেন, ঝিকরগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মুকুল, উপজেলা পরিষদের সদ্য সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম রেজা, পৌর শহরের আকিবুল হোসাইন, মাহাবুর হাসান বরি, বল্লা গ্রামের আজহারুল ইসলাম মিথুন ও বাঁকড়া গ্রামের আব্দুল জব্বার।
মামলার এজাহারে বলা হয়, সদ্য শেষ হওয়া ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মনিরুল ইসলাম ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম রেজা। গত ১৯ মে উপজেলার বাঁকড়া বাজারে নির্বাচনী পথসভায় সেলিম রেজা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মুকুল চেয়ারম্যান প্রার্থী মনিরুল ইসলামকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ ও মানহানিকর বক্তব্য দেন। তারা চেয়ারম্যান প্রার্থী মনিরুল ইসলামকে মাদকসেবনকারী ও মাদক কারবারি বলে আখ্যা দেন। পরে সেই বক্তব্য অন্য আসামিরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করেন। এতে জনপ্রতিনিধি মনিরুল ইসলামের মানহানি হয়েছে।
বাদী পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ আশিকুর রহমান বলেন, ‘মামলাটি আমলে নিয়ে বিচারক যশোর পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।’মামলার আসামি উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মুকুল বলেন, ‘মনিরুল ইসলাম চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। নির্বাচনের আগে প্রচারণাতে আমরা তাকে নিয়ে ভালোমন্দ কথা বলেছি। ভোটারদের কাছে তার বিভিন্ন সমালোচনা করে বক্তব্য দিয়েছি। এক প্রার্থী আরেক প্রার্থীর সমালোচনা করবে — এটাই নির্বাচনের প্রচারণা রীতি। নির্বাচনের পর তো কোনও কথা বলিনি। আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার জন্য এ মামলা দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলামের মোবাইলে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি রিসিভ করেনি।
ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ২১ মে ভোটগ্রহণ হয়। এতে চেয়ারম্যান পদে মনিরুল ইসলাম আনারস ও সেলিম রেজা ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনিরুল ইসলাম বিজয়ী হন।