মৌলভীবাজার প্রতিবেদক, এটিভি সংবাদ
মৌলিভীবাজারে কুলাউড়ার দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় ঘিরে রাখা জঙ্গি আস্তানা থেকে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে বোম, অস্ত্র, নগদসহ প্রশিক্ষণ সামগ্রী।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) রাত ৮টা থেকে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে বাড়িটি ঘিরে রাখা হয়েছিল। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) ‘অপারেশন হিলসাইড’ পরিচালনা করে। কোনো হতাহতের ঘটনা ছাড়াই ৪ জন পুরুষ, ৬ জন নারী জঙ্গিকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের সাথে থাকা তিন শিশুকে হেফাজতে নেওয়া হয়।
আটককৃত জঙ্গিরা হলেন- সাতক্ষীরার শরীফুল ইসলাম (৪০)। তার বাবার নাম ওমর আলী। কিশোরগঞ্জের ইটনা থানার হাফিজ উল্লাহ। তার বাবার নাম আবুল কাশেম। নারায়নগঞ্জের খায়রুল ইসলাম। তার বাবার নাম নজরুল ইসলাম। সিরাজগঞ্জের রাফিউল ইসলাম (২২)। নারায়নগঞ্জের মেঘনা (১৭)। তার স্বামীর নাম খায়রুল ইসলাম। শাপলা বেগম (২২), মাইশা ইসলাম (২০), সানজিদা খাতুন (১৮), আমিনা বেগম (৪০), হাবিবা বিনতে শফিকুল (২০)।
শনিবার (১২ আগস্ট) সকালে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট প্রধান মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি আরো জানান, আটক ১০ জনের বাড়ি দেশের বিভিন্ন এলাকায়। এলাকাটি ঘিরে রাখার পূর্বেই কিছু জঙ্গি সেখান থেকে পালিয়ে যায়। তারা প্রায় ১ মাস আগে জায়গা কিনে ঘর বানিয়ে এ এলাকায় বসবাস শুরু করে। এটি একটি নতুন সংগঠন। এর নাম ‘ইমাম মাহমুদের কাফেলা। বাংলাদেশে যেসব নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আছে এটি সেগুলোর বাইরে। এটি একটি নতুন সংগঠন। সংগঠনের মূল ব্যক্তির নামও আমরা পেয়েছি।
অভিযানে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সার্বিক সহায়তা করে। জঙ্গি আস্তানা থেকে ২.৫ কেজি বিস্ফোরক, ৫০টি ডেটোনেটর, প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল, কমান্ডো বুটসহ অন্যান্য প্রশিক্ষণ সরঞ্জামাদি, ছুরি, রামদাসহ অন্যান্য ধারালো অস্ত্র এবং নগদ ৩ লাখ ৬১ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকার জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মো. মনজুর রহমানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।