নিউজ ডেস্ক, এটিভি সংবাদ
দুবাইয়ে গোল্ডেন ভিসা পাওয়া ৪৫৯ বাংলাদেশী নাগরিকের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
একই সঙ্গে গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান দল। এই অনুসন্ধান দলে আছেন দুদকের তিন উপ-পরিচালক রাম প্রসাদ মণ্ডল, মো. আহসান উদ্দিন ও মো. ইসমাইল হোসেন।
দুদকের উচ্চ পর্যায়ের একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। দুদকের কাছে থাকা অভিযোগ বলছে, বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রকাশ্যে-গোপনে বিপুল পরিমাণ মূলধন স্থানান্তরিত হচ্ছে দুবাইয়ে। এ অর্থ পুনর্বিনিয়োগে ফুলেফেঁপে উঠছে দুবাইয়ের আর্থিক, ভূসম্পত্তি, আবাসনসহ বিভিন্ন খাত।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ডিফেন্স স্টাডিজ (সিএডিসি) গত বছরের মে মাসে তাদের গবেষণা প্রতিবেদনে উপসাগরীয় দেশগুলোতে মূলত পাচার করা অর্থ দিয়ে আবাসন সম্পদ কেনার বিষয়টি তুলে ধরলে এটা সামনে আসে।
দুদকের কাছে থাকা সিএডিএস-এর তথ্য বলছে, বাংলাদেশে তথ্য গোপন করে দুবাইয়ে সম্পদ কিনেছেন ৪৫৯ বাংলাদেশি। ২০২০ সাল পর্যন্ত তাদের মালিকানায় সেখানে মোট ৯৭২টি জমি-বাড়ি কেনার তথ্য পাওয়া গেছে, কাগজে-কলমে যার মূল্য সাড়ে ৩১ কোটি ডলার। তবে প্রকৃতপক্ষে এসব সম্পত্তি কিনতে ক্রেতাদের অনেক বেশি ব্যয় করতে হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দুদক মনে করছে, অবৈধভাবে দেশ থেকে অর্থপাচার করে দুবাইয়ে বিনিয়োগ করেছেন এসব বাংলাদেশি নাগরিক। অনুসন্ধানে দুদক এসব বাংলাদেশি নাগরিক কারা তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবেন।
দুই মিলিয়ন দিরহামের সম্পতি কিনলে বা সমপরিমাণ অর্থ দুবাইয়ের ব্যাংকে রাখলেই গোল্ডেন ভিসার জন্য আবেদন করা যায়। ভিসাটি ১০ বছরের বৈধ ও নবায়নযোগ্য। এটি পেলে ছয়মাসের মধ্যে একাধিকবার সে দেশে প্রবেশ করা যাবে।