নিজস্ব প্রতিবেদক, এটিভি সংবাদ
চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইতে আবার দুই বিলিয়ন ডলারের নিচে নামল প্রবাসী আয়। গত মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা মোট ১৯৭ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। আগের মাস বা আগের বছরের একই মাসের তুলনায় যা অনেক কম।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যস্ততায় ঠিক করা দর নিয়ে কড়াকড়ি করলেই এভাবে রেমিট্যান্স কমছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন : আজ এলপিজি গ্যাসের নতুন দাম ঘোষণা
গত জুন মাসে প্রবাসীরা মোট ২২০ কোটি ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছিলেন। গত বছরের একই মাসে এসেছিল ২১০ কোটি ডলার। এ হিসেবে আগের মাস জুনের তুলনায় ২৩ কোটি ডলার বা ১০ দশমিক ৪৫ শতাংশ কমেছে। আর আগের বছরের একই মাসের তুলনায় কমেছে ১৩ কোটি ডলার বা ৬ দশমিক ১৯ শতাংশ।
ডলারের দর বাজারভিত্তিক বলা হলেও কৌশলে তা ঠিক করে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি এবং বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংকের সংগঠন বাফেদার মাধ্যমে দর নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। ব্যাংকগুলোর ঠিক করা দর মানছে কিনা জুলাইতে তা যাচাই করতে বিভিন্ন ব্যাংকে পরিদর্শন করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একাধিক পরিদর্শক দল। এর মধ্যে রেমিট্যান্স কমেছে। বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে আমদানি কমানো হয়েছে। এ সময়ে রপ্তানি ও রেমিট্যান্স বেড়েছে। এরপরও বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে সংকট কাটছে না।
সংকটের মূল কারণ- করোনার মধ্যে সস্তায় নেওয়া বিদেশি ঋণ পরিশোধ ব্যাপক বেড়েছে। আবার নতুন ঋণ আসছে কম। বাজার ঠিক রাখতে চলতি অর্থবছরের জুলাইয়ে আরও ১০০ কোটি ডলারের বেশি বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত অর্থবছর বিক্রি করা হয় রেকর্ড ১ হাজার ৩৫৮ কোটি ডলার। এভাবে ডলার বিক্রির ফলে ধারাবাহিকভাবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ২৩ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে।