চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি, এটিভি সংবাদ
বর্তমানে দেশে শিক্ষক দ্বারা যেভাবে ছাত্রীরা লাঞ্ছিত ও ধর্ষিত হচ্ছে যা গোটা সমাজকে ভয়ানকভাবে কলুষিত করছে। এমন এক ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে। জেলার নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের এক সহযোগী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে ধর্ষণ ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার অধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন ওই ছাত্রী। ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। অভিযুক্ত শিক্ষককের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে ওই দিন মানববন্ধন করে কলেজ শাখা ছাত্রলীগ ও শিক্ষার্থীরা।
অভিযোগকারী শিক্ষার্থীর দাবি, শিক্ষক আব্দুল খালেক চৌধুরী ২০২২ সালে তাঁর বাড়িতে নিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেন। এর পর দীর্ঘদিন ধরে যৌন হয়রানি করে আসছিলেন ওই শিক্ষক। বিষয়টি জানাজানির পর অর্থের বিনিময়ে মীমাংসার চেষ্টা চালান তিনি। ভুক্তভোগী ওই কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের হিসাব বিজ্ঞানের ছাত্রী।
তবে অভিযুক্ত হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল খালেক চৌধুরী ডলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, পরিকল্পিতভাবে তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
ওই শিক্ষার্থী ‘ধর্ষণের শিকার’ হওয়ার কথা জানিয়ে গত রোববার আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে স্ট্যাটাসও দেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, এসব ঘটনার ধামাচাপা দিতে ৩ লাখ টাকা দিয়ে লোক পাঠিয়েছিলেন ওই শিক্ষক। রাজি না হওয়ায় প্রাণনাশের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে। সেই সঙ্গে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার কথা বলেন।
লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর মঙ্গলবার দুপুরে কলেজের শিক্ষক পরিষদের জরুরি সভায় ওই কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির আহ্বায়ক ও রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. আব্দুর রউফ বলেন, তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। তদন্তে যা পাওয়া যাবে, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে কলেজ শাখা ছাত্রলীগ ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন থেকে দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত করে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়।
অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল খালেক চৌধুরী বলেন, আমাকে বিতর্কিত ও এখান থেকে চাকরিচ্যুত করতে একটি মহল কাজ করছে, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।