কক্সবাজার প্রতিনিধি, এটিভি সংবাদ
কক্সবাজারের গভীর সমুদ্র দিয়ে ইয়াবার চালান আসছে এমন খবরে বুধবার (৩ আগস্ট) মধ্যরাতে জেলের বেশে একটি ট্রলারে অবস্থান নেয় র্যাবের একটি চৌকস দল। অন্ধকার সাগরে অপেক্ষার প্রহর শেষে ইয়াবা পাচারকারী দলের ট্রলারের দেখা পায় তারা। ধাওয়া করে থামিয়ে ট্রলারে চলে তল্লাশি। এ সময় সেখানে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা এক লাখ পিস ইয়াবার সন্ধান পায় র্যাব সদস্যরা। আটক করা হয় ৯ মাদক ব্যবসায়ীকে।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) বিকেলে কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অফিসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। আটকরারা হলেন, টেকনাফের হ্নীলা ইউপির নয়াপড়া নিবন্ধিত শরনার্থী ক্যাম্পে মৃত জাফর আমানের ছেলে আলী উল্লা (৫০), টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়ার ওসমান গণির ছেলে জিয়াবুল হোসেন (২১), হ্নীলার জাদিমোড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মৃত ফজল আহমদের ছেলে আবু তাহের (৪০)।
তাদের মধ্যে মিয়ানমারের ৪ নাগরিকও রয়েছেন। তারা হলেন, মো. শফিক ছেলে মো. ইউনুস (৩৫), নূরে আলমের ছেলে বদি আলম (২৩), আমিন হোসেনের ছেলে এনামুল হাছান (২০), হাফেজ আহমদের ছেলে নূর মোহাম্মদ (২২), মাহমুদ হোসেনের ছেলে মো. রফিক (২১),এবং সৈয়দ আহমদের ছেলে সাদেক (২২)। তারা সকলেই মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার প্রত্তুমনির মেহেরকুল গ্রামের বাসিন্দা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গোয়েন্দা সূত্রে র্যাব-১৫ নিশ্চিত হয়, একটি সংঘবদ্ধ চক্র অবৈধ পন্থায় ডাঙ্গায় মোটা অংকের টাকা লেনদেন করবে এবং গভীর বঙ্গোপসাগরে ইয়াবার চালান হস্তান্তর করবে। এমন তথ্যে র্যাব সাগরে জেলেদের ছদ্মবেশ ধরে। পুরো চক্রকে আটক করা সম্ভব হয়।
আটকদের বরাত দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, তারা সবাই মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে তারা গভীর সমুদ্র পথকেই মাদক কেনা-বেচায় নিরাপদ পথ বলে মনে করেছিল। দীর্ঘদিন ধরেই তারা একজন হুন্ডি ব্যবসায়ীর মাধ্যমে টাকা লেনদেন করে গভীর সমুদ্রে ইয়াবা পাচার করে আসছিল।
এ বিষয়ে র্যাব এর উপ-অধিনায়ক মেজর আরেফিন সিদ্দিকী বলেন, আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ঠ আইনে মামলা দায়ের করে কক্সবাজার সদর থানায় সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছে।