নাটোর প্রতিনিধি, এটিভি সংবাদ
নাটোরের গুরুদাসপুরে কলেজছাত্রকে বিয়ের ছয় মাস পর শিক্ষিকা খায়রুন নাহারের (৪০) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার (১৪ আগস্ট) সকালে নাটোর শহরের বলারিপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তার স্বামী মামুনকে (২২) আটক করেছে পুলিশ।
শিক্ষিকা খায়রুন নাহার গুরুদাসপুরের খুবজিপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক। মামুন উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামের মোহাম্মাদ আলীর ছেলে এবং নাটোর এন এস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
এক বছর আগে ফেসবুকে শিক্ষিকা খায়রুনের সঙ্গে মামুনের পরিচয় হয়। পরে তাদের দু’জনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে দু’জন বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। গত বছরের ১২ ডিসেম্বর কাজি অফিসে গিয়ে দু’জন গোপনে বিয়ে করেন। বিয়ের ছয় মাসেরও বেশি সময় পার হওয়ার পর সম্প্রতি বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়। তবে ছেলের পরিবার মেনে নিলেও মেয়ের পরিবার মেনে নেয়নি।
খায়রুন নাহারের স্বামী মামুন বলেন, রাত ২টার দিকে খায়রুন খুব অসুস্থ বোধ করলে আমি ঔষধ নিতে হাসপাতালে যাই। ফিরে এস দেখি দরজা খোলা। তখনই আমার ভেতরে ভয় কাজ করছে, শোবার রুমে ঢুকে দেখি খায়রুন গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সিলিংয়ের সঙ্গে ঝুলছে। আমি তাকে নামানোর জন্য বটির খোঁজে রান্না ঘরে যাই। কিন্তু বটি না পেয়ে লাইটার জ্বালিয়ে ওড়নায় আগুন ধরিয়ে দেই। ওড়না অর্ধেক পুড়ে গেলে টান দিয়ে ছিঁড়ে তার দেহ নামিয়ে খাটে শুইয়ে দেই। এরপর দৌড়ে গিয়ে আমি নিচের তলায় নাইট গার্ড নিজাম উদ্দিনকে খবর দেই। ফিরে এসে দেখি সে মারা গেছে। অনেক রাত হওয়ায় আমি পাশের ফ্ল্যাটের কাউকে ডাকিনি।