অনুসন্ধানী প্রতিবেদক, এটিভি সংবাদ
জেলা নেত্রকোনার বারহাট্টা থানা এলাকায় রয়েছে ৭টি ইউনিয়ন পরিষদ। সাহতা ইউনিয়ন পরিষদ তারমধ্যে অন্যতম একটি। অপরাধ অনুসন্ধান লিমিটেড’র অঙ্গ প্রতিষ্ঠান জাতীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল এটিভিসংবাদডটকম’র আজকের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে রয়েছে সাহতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান।
৩৯টি গ্রামের সমন্বয়ে গঠিত উল্লেখিত সাহতা ইউনিয়ন পরিষদটি। ইউনিয়নটিতে বসবাসকৃত বর্তমান লোকসংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার এবং ভোটার সংখ্যা প্রায় ২৪ হাজার যা ৯টি ওয়ার্ডে কর্তব্যরত মেম্বারদের মাধ্যমে নিয়মতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে।
আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন না পাওয়ায় মো. মিজানুর রহমান এলাকার বিপুল জনসমর্থনে স্বতন্ত্র থেকে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হন। বিপুল জনসমর্থনে প্রথমবারে নির্বাচিত হন স্বতন্ত্র এ প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান। যুবসমাজের বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর, ইউনিয়নবাসীর প্রিয়মুখ ও গণমানুষের নেতা মো. মিজানুর রহমান। শুধু থানা এলাকায় নয়, অল্প দিনে নেত্রকোনা জেলায় একজন সফল ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে যার নাম উঠে এসেছে তিনি মো. মিজানুর রহমান। যুব সমাজের কাছে তিনি অপ্রতিরোধ্য চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত, যার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে ইউনিয়ন এলাকার সার্বিক উন্নয়ন তথা সরকার ঘোষিত প্রতিটি প্রকল্পের কার্যক্রম সুন্দর ও সফলভাবে সম্পাদন করতে সক্ষম।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ইউপি চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান শুধু নিজ ইউনিয়ন এলাকায় নয়, বারহাট্টা থানা এলাকায় সর্বসাধারনের কাছে দলমত নির্বিশেষে এক ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তি হিসেবে প্রতীয়মান। তিনি জনসেবা প্রদানের লক্ষ্যে এলাকার ব্যাপক জনসমর্থনে অতি অল্প সময়ের মধ্যে একজন সফল চেয়ারম্যান হিসেবে এলাকায় অধিষ্ঠিত।
মো. মিজানুর রহমান আওয়ামী পরিবারের সদস্য। এলাকার সার্বিক উন্নয়নে নিজেকে উৎসর্গ করতে চান জনবান্ধব ও বিচক্ষণ এই চেয়ারম্যান। ইউনিয়ন এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয় ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে, তিনি এটিভি সংবাদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদককে বলেন, আমাদের ইউনিয়নটি একটি আদর্শ ইউনিয়ন, প্রায় ৬০ হাজার লোকের বাস ইউনিয়নটিতে। ইউনিয়নে নেই তেমন কোনো বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং এমনকি জঙ্গীবাদ।
ষাটোর্ধ বয়সের আবুল কালাম বলেন, আমাদের ইউপি চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান একজন ভালো মানুষ, অনেক পরিশ্রমী এবং এলাকার উন্নয়নে যথেষ্ট নিবেদিত। তিনি শুধু এলাকার চেয়ারম্যান-ই নন, তিনি আমাদের অভিভাবক। কোন ওয়ার্ড সদস্যদের নেই কোন অভিযোগ। সকল সদস্যদের একই কথা কোন প্রকল্প এলে চেয়ারম্যান আমাদেরকে নিয়েই মিলেমিশে সিদ্ধান্ত নেন। এর মধ্য থেকে ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য রফিক বলেন, আমাদের চেয়ারম্যানের কোন তুলনা হয় না। সরকারের প্রতিটি প্রকল্পের কাজ তিনি খুব যত্নসহকারে করে থাকেন। তিনি শুধু চেয়ারম্যান-ই নন তিনি একজন সমাজসেবক এবং জনবান্ধবও বটে।
সাহতা ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় বর্তমান শিক্ষার হার প্রায় ৬৫% এবং প্রতি বছরই শিক্ষার হার আনুপাতিকহারে বাড়ছে। ইউনিয়নটিতে শিক্ষা ব্যবস্থা, স্বাস্থ্যসেবা থেকে শুরু করে সরকার ঘোষিত সকল প্রকার সুবিধাদি পাচ্ছেন ইউনিয়নে বসবাসকৃত সর্বসাধারন বললেন, আব্দুল জলিল নামের এক ব্যবসায়ী।
১০ জনের একটি গ্রাম পুলিশ কমিটি রয়েছে ইউনিয়নটিতে, যারা সার্বক্ষনিক এলাকার আইন-শৃংখলা রক্ষায় এবং জনগনের সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিমাসে মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে এলাকার সার্বিক উন্নয়নে নানা বিষয়ে আলোচনা হয়ে থাকে। বিশেষ করে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন ও বাল্যবিবাহ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, ইভটিজিং বন্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়। গুরুত্বপূর্ণ মাসিক এ সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউপি চেয়ারম্যান নিজেই।
এটিভি সংবাদের অনুসন্ধানে দেখা যায়, সাহতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান দলমত নির্বিশেষে সকলের কাছে বড়ই আস্থাভাজন। সফল ও জনবান্ধব এই চেয়ারম্যান এটিভি সংবাদকে বলেন, যতদিন এলাকার জনপ্রতিনিধি হিসেবে আল্লাহ দায়িত্বে রাখবেন, ততদিন এলাকার সার্বিক উন্নয়নে নিবেদিত হয়ে কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ।
বর্তমান সফল সরকারের সফল ও জনবান্ধব ইউপি চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান। যার আন্তরিকতা, ভালোবাসা ও নিরলস প্রচেষ্টায় সাহতা ইউনিয়নের সার্বিক উন্নয়ন অব্যাহত আছে এবং উন্নয়নের ধারা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলে মনে করেন, এটিভি সংবাদের সম্পাদক এস এম জামান।